ইরানের কঠিন প্রতিশোধ নিল তালেবান !
ইরানের প্রতিশোধ তালেবানই নিয়ে নিয়েছে। গুলি করে বিধ্বস্ত করেছে কাসেম সোলেইমানি হত্যাকাণ্ডের নীল নকশাকারী মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর ইরাক, ইরান এবং আফগান মিশনের প্রধান মাইকেল ডি আন্দ্রিয়াকে।
ডেইলি মেইলের খবরে রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থার বরাতে বলা হয়েছে, জঙ্গিগোষ্ঠী তালেবানের গুলিতে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। সোমবার আফগানিস্তানের মধ্যাঞ্চলীয় গজনী প্রদেশে এ ঘটনা ঘটে।
এর আগে গত ৩ জানুয়ারি ইরাকের রাজধানী বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর সশস্ত্র বিদেশি শাখা কুদস ফোর্সের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলেইমানি হত্যার নিখুঁত নীল নকশা সিআইএর ইরাক, ইরান এবং আফগান মিশনের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাইকেল ডি আন্দ্রিয়া-ই করেছিলেন। বিধ্বস্ত ওই বিমানটিতে আন্দ্রিয়া ছাড়াও সিআইএর আরো বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ছিলেন বলে জানিয়েছে রুশ গোয়েন্দারা।
মধ্যপ্রাচ্যে সিআইএর সর্বাধিক পরিচিত কর্মকর্তা ডি আন্দ্রিয়া আয়াতুল্লাহ মাইক নামেও পরিচিত। ২০১৭ সাল থেকে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন পতাকা ব্যবহার করে বেশকিছু গুপ্তহত্যায় নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন। সোলেইমানি ছাড়াও ইরাকের অন্তত ৩০০ বিক্ষোভকারীকে তার নেতৃত্বে সিআইএর অ্যাজেন্টরা হত্যা করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে, মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে আফগানিস্তানের মধ্যাঞ্চলে মার্কিন সামরিক বাহিনীর বোমারু/নর্থরোপ গ্রাম্মান ই-১১এ বিমান নিখোঁজ হয়েছে বলে স্বীকার করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
আফগানিস্তানে নিয়োজিত মার্কিন সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র সনি লিগেট এক বিবৃতিতে বলেছেন, বিমানটির বিধ্বস্ত হওয়ার কারণ জানতে তদন্ত চলমান রয়েছে। তবে শত্রুর গোলায় বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার কোনও আলামত এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। আরও তথ্য পেলে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো হবে।
একই সঙ্গে আফগানিস্তানে মার্কিন আরো একটি সামরিক বিমান ভূপাতিত করা হয়েছে বলে তালেবান যে দাবি করেছে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন সনি লিগেট।
মঙ্গলবার তালেবানের এক বিবৃতিতে বলা হয়, দেহ ইয়াক জেলায় মার্কিন বিমান বিধ্বস্ত করার পরপরই আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের অপর একটি সামরিক বিমান ভূপাতিত করা হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত আর কোনও তথ্য দেয়নি তালেবান।
প্রসঙ্গত, ৩ জানুয়ারি ড্রোন হামলা চালিয়ে বাগদাদে কুদস ফোর্সের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলেইমানি ও ইরাকের আধা সামরিক বাহিনী পিএমইউর সেকেন্ড-ইন-কমান্ড আবু মাহদি আল-মুহানদিসসহ অন্তত ১০ জনকে হত্যা করে মার্কিন সামরিক বাহিনী।