বিজেপির ৮০ নেতার পদত্যাগ
(এনআরসি) ও (সিএএ)’র বিরোধীতা করে বিজেপির ৮০জন নেতা পদত্যাগ করলেন। ওইসকল নেতাই মধ্যপ্রদেশের নেতা। দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া এ খবর জানিয়েছে।
পদত্যাগকারী নেতাদের একজন হলেন রাজিক কুরেশি ফারশিওয়ালা। তিনি জানান, তারা দলের নবনির্বাচিত সভাপতি জে পি নাড্ডা কাছে সিএএ-কে বিভেদ সৃষ্টিকারী বলে লিখিতভাবে জানিয়ে পদত্যাগ করেছেন।
এই বিজেপি নেতা জানান, পদত্যাগকারীদের মধ্যে বিজেপির সংখ্যালঘু সেলের অনেকেই আছেন। গত বছরের ডিসেম্বরে সিএএ পাস হওয়ার পর তাদের জন্য ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
ক্ষমতাসীন বিজেপির অরেকজন মুসলিম নেতা ওয়াসিম খান। তিনি বলেন, এনআরসি ভারতে সাম্প্রদায়িকতা ও অরাজকতা ছাড়া অন্য কিছুই বয়ে আনবে না।
১৫ বছর ধরে বিজেপি`র পক্ষে রাজনীতি করেছেন এই নেতা। নিজের পদত্যাগ প্রসঙ্গে ওয়াসিম খান বলেন, `মুসলিমরা দেশে থাকুক বা মরুক তাতে বিজেপির কিছুই যায় আসে না। বিজেপি কি কোনওদিন সংখ্যালঘুদের নিয়ে ভেবেছে?`
কুরেশি ফারশিওয়ালা জানান, মানুষ আমাদের অভিশাপ দেয় এবং আমরা আর কতদিন এমন বিভেদ সৃষ্টিকারী আইনের বিষয়ে নীরব থাকব জানতে চায়। নির্যাতিত শরণার্থীরা যে ধর্মেরই হোক ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়া উচিত।
মুসলিম নেতারা তাদের চিঠিতে উল্লেখ করেন, ভারতীয় সংবিধানের আর্টিকেল ১৪ অনুসারে সব নাগরিকের সমান অধিকার আছে। কিন্তু বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার ধর্মের ভিত্তিতে সিএএ প্রয়োগ করছে।
এই চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, এই আইন দেশকে বিভক্ত করবে এবং এটি সংবিধানের মৌলিক নীতির বিরোধী। ফারশিওয়ালা বলেন, শুধু ধর্মের ভিত্তিতে একজনকে অনুপ্রবেশকারী বা সন্ত্রাসী বলা যায় না।