ধর্ষণের পর মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে শেকলবন্দি, অবশেষে অভিযুক্ত গ্রেফতার
নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় ধর্ষণের শিকার হয়ে বিচার না পেয়ে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে শেকলবন্দি হওয়া তরুণীর ধর্ষণ মামলায় ইউপি মেম্বার হানিফকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ শুক্রবার রাতে অভিযুক্ত মেম্বারকে গৌরীপুর উপজেলায় তার এক আত্মীয়ের বাসা থেকে গ্রেফতার করে।
এর আগে গত ২৪ সেপ্টেম্বর ভুক্তভোগী তরুণীর মা সখিনা বেগম বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামি করা হয় উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার হানিফকে। এছাড়া ধর্ষণের সহায়তাকারী হিসেবে মাইজকান্দি গ্রামের ললিতাকেও আসামি করা হয়।
কেন্দুয়া থানার ওসি কাজী শাহনেওয়াজ বলেন, উপজেলার নওপাড়া ইউপির ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার (দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা) হানিফকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন মামলায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ আইন সহায়তা কেন্দ্র (বাসক) কেন্দুয়া শাখার সাধারণ সম্পাদক মামুনুল কবীর খান আসামি গ্রেফতার করায় পুলিশকে ধন্যবাদ জানান। মেয়েটির সুচিকিৎসা করে পুনর্বাসনের জন্য তিনি প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
উল্লেখ্য, প্রায় দুই বছর আগে এক নারীর যোগসাজশে হানিফ মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে গ্রাম্যসালিশে মাতবররা ৮ হাজার টাকার বিনিময়ে সেটি মীমাংসা করেন।
এ ঘটনার পর থেকেই মেয়েটি ধীরে ধীরে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। তাই পরিবারের লোকজন বাধ্য হয়ে তাকে এখন শেকলবন্দি করে রেখেছেন।