দেশে ১০ কোটি ৯৮ লাখ ভোটার
ভোটার দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা জানিয়েছেন, দেশে বর্তমানে মোট ১০ কোটি ৯৮ লাখ ১৯ হাজার ১১২জন ভোটার আছেন। নতুন ভোটার বেড়েছে ৫৫ লাখ ৬৯ হাজার ৩০ জন।
সোমবার (২ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সিইসির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী দেশের মোট ভোটারের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫ কোটি ৫৪ লাখ ৮২ হাজার ৫৩০ জন এবং নারী ভোটার ৫ কোটি ৪৩ লাখ ৩৬ হাজার ২২২জন। এছাড়াও প্রথমবারের মতো ৩৬০ জন হিজড়াকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
তিনি জানান, ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় ৬৯ লাখ ৭১ হাজার ৪৭০ জন নতুন ভোটার অন্তর্ভুক্ত হন। তবে এসময় দ্বৈত ভোটার, মৃত্যুজনিত কারণসহ নানা কারণে বিদ্যমান ভোটার তালিকা থেকে কর্তন হয় ১৩ লাখ ৯২ হাজার ৪৪০ নাম। ফলে মোট ভোটার বেড়েছে ৫৫ লাখ ৬৯ হাজার ৩০ জন।
এর আগে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারের আয়োজিত ভোটার দিবসের অনুষ্ঠানে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম তথ্যচিত্রের মাধ্যমে ভোটার হালনাগাদ কার্যক্রমের নানা বিষয় তুলে ধরেন। পরে নতুন ভোটার অন্তর্ভুক্তির প্রক্রিয়া, সংশোধন ও নানা তথ্য সংবলিত একটি মোবাইল অ্যাপ উদ্বোধন করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী বলেন, নির্ভুল ভোটার তালিকার প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে হবে। তবে কেউ যেন অবৈধভাবে ভোটার হতে না পারে, একইসঙ্গে রোহিঙ্গা বা অন্য কোনও দেশের নাগরিক যাতে ভোটার না হতে পারে সেজন্য সজাগ থাকতে হবে নির্বাচন কমিশনকে।
পরে ২০১৯ সালে হালনাগাদের মাধ্যমে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত নতুন ভোটারদের হাতে স্মার্ট জাতীয় পরিচয় পত্র তুলে দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও প্রধান অতিথি আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এসময় জানানো হয় পর্যায়ক্রমে সব ভোটারকে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া হবে।
এর আগে সকাল আটটায় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে বর্ণাঢ্য র্যালির উদ্বোধন করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা ও কমিশনারবৃন্দ। র্যালিতে নির্বাচন কমিশন ও জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ, ইডিইএ ও ইভিএম প্রকল্পের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশ নেন।
প্রসঙ্গত ২০১৯ সালের ২৩ এপ্রিল দেশের ৫১৯টি উপজেলা ও থানায় একযোগে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কার্যক্রম শুরু হয়। ২০০২ সালের ১ জানুয়ারিতে জন্ম নেওয়া ১৮ বছর বয়সী বাংলাদেশি নাগরিকদের চূড়ান্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এই কার্যক্রমে প্রথমবারের মতো প্রত্যেক ভোটারের চোখের আইরিশ ও ১০ আঙ্গুলের ছাপ নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও কোনও রোহিঙ্গা যাতে ভোটার না হতে পারে সেটা নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনে রক্ষিত রোহিঙ্গা তথ্য ভাণ্ডার ব্যবহার করে নিবন্ধিত নাগরিকদের তথ্য যাচাই করা হয়েছে। পরে চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি ভোটার তালিকার খসড়া হালনাগাদ প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। খসড়া তালিকা যাচাই-বাছাই শেষে সোমবার চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হলো।