কমলগঞ্জে সর্দি, জ্বর ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত বাড়ছে

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে সর্দি, জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। ঠান্ডা বেড়ে যাওয়ায় পূর্বের তুলনায় হাসপাতাল ও প্রাইভেট চিকিৎসা কেন্দ্রে এসব রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সম্প্রতি সময়ে ঠান্ডা বেড়ে যাওয়ায় এসব উপসর্গ নিয়ে হাসপাতাল ও প্রাইভেট চিকিৎসা কেন্দ্রে রোগীদের ভিড় দেখা যাচ্ছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, মৌলভীবাজারের সীমান্তবর্তী কমলগঞ্জ উপজেলায় চা বাগান ও বনাঞ্চল থাকায় অন্যান্য স্থানের তুলনায় এখানে ঠান্ডা বেশি অনুভূত হচ্ছে। ফলে ঠান্ডার প্রকোপও বাড়তে শুরু করেছে। এতে চা শ্রমিকসহ নি¤œ আয়ের লোকজনের মধ্যে দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। গত কয়েকদিনের ব্যবধানে সর্দি, জ্বর, কাশি, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট এবং মাঝে মধ্যে ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাবেও অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছেন। আক্রান্তদের মধ্যে শিশু ও বয়স্কদের সংখ্যা বেশি। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও প্রাইভেট চিকিৎসকদের সাথে কথা বলে এ চিত্র পাওয়া গেছে। ইতিমধ্যে করোনা মহামারীর কারনে মানুষের মধ্যে উদ্বেগ উৎকন্ঠা রয়েছে। এরমধ্যে করোনা উপসর্গজনিত এসব প্রাদুর্ভাব অনেকের মাঝেই উদ্বেগ-উৎকন্ঠা বাড়িয়ে দিয়েছে।

শমশেরনগরের চা শ্রমিক নেতা ও ইউপি সদস্য সীতারাম বীন জানান, ঠান্ডা বেড়ে যাওয়ায় চা বাগানে সর্দি, জ্বর কাশি, নিউমোনিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। ভানুগাছের নূরুল ইসলামসহ কয়েকজন প্রাইভেট চিকিৎসক বলেন, কিছুদিনের ব্যবধানে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ বাড়ছে। শিশু ও বয়স্কদের মধ্যে সর্দি, জ্বর, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হতে দেখা গেলেও এখন সববয়সী লোকের মধ্যে এসব উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। আর ঠান্ডা থাকায় তা আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে।

কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহবুবুল আলম ভ‚ঁইয়া বলেন, ঠান্ডা বেড়ে যাওয়ায় বিশেষ করে কোল্ড ডায়রিয়াসহ সর্দি, জ্বর, কাশি নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। হাসপাতালে এধরণের রোগী বেশি পাওয়া যাচ্ছে। এ সময়ে সতর্কতা অবলম্বন প্রয়োজন। স্বাস্থ্য বিভাগ সার্বক্ষণিক নজর রাখছে ও গুরুত্বসহকারে চিকিৎসা প্রদান করছে। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে লোকজন করোনা পরীক্ষা না করায় করোনা রোগীর বিষয়েও সঠিক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ