বাংলাদেশে ধর্ষণ মামলায় সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে নিউইয়র্কে সমাবেশ

বাংলাদেশে ধর্ষণ মামলায় সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে ‘নিউইয়র্কের ক্ষুব্ধ সচেতন প্রবাসীরা’ এই ব্যানারে প্রতিবাদ ও মানববন্ধন হয়েছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের ডাইভারসিটি প্লাজায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তারা বলেন, ধর্ষণের বিচার না হওয়ায় বাংলাদেশে ধর্ষণের ঘটনা বেড়ে চলেছে। তাই ধর্ষণের এমন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিবে হবে যেন কেউ ধর্ষণ করার সাহস না পায়। প্রত্যেকে নিজের জায়গা থেকে প্রতিবাদ সমাবেশ না করতে পারলেও যেনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধর্ষণের বিরোদ্ধে প্রতিবাদ অব্যাহত রাখতে হবে। মনোভাবের এবং অপরাধঅদের প্রতিহত করতে আহ্বান জানান বক্তারা।

সমাবেশের অন্যতম আয়োজক সাংবাদিক তোফাজ্জল লিটনের সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন নাগরিক আন্দোলনের নেতা ও সাংবাদিক মুজাহিদ আনসারী, লেখক ও ছড়াকার ইশতিয়াক রূপু, নিউইয়র্ক শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক মণিকা রায় চৌধুরী, আবৃত্তি শিল্পী কান্তা কবীর, পরিচয় সম্পাদক নাজমুল আহসান, কবি ও সাংবাদিক দর্পণ কবীর প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, যারা দৃষ্টি দিয়ে, গালাগাল করে এবং অশালিন অঙ্গভঙ্গী করে নারীদের মানসিকভাবে ধর্ষণ করে তাদের বিরুদ্ধেও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। সব দেশেই ধর্ষণ হয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন বক্তব্য অপরাধীদের উৎসাহিত করতে পারে। তারা বলেন, যারা ইনিয়ে বিনিয়ে ধর্ষকদের সমর্থনে কথা বলে, পোশাকে দায়ী করে ধর্ষকদের বাঁচাতে চায় তাদের বিরুদ্ধেও সোচ্চার হতে হবে। বক্তারা বাংলাদেশের প্রত্যেকটি ধর্ষণ ঘটনার সুষ্ঠু ও সর্বোচ্চ বিচার দাবি জানান।

সমাবেশের আয়োজক তোফাজ্জল লিটন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, বাংলাদেশ গণজাগরণ মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা সংগঠক সৈয়দ জাকির আহমেদ রনি, কুইন্স বাংলাদেশ সোসাইটির উপদেষ্টা তাজুল ইসলাম, লেখিকা শেলী জামান খান, নির্মাতা রহমান টিটো, সহযোগী নার্স সীমা সুস্মিতা, জুয়েল মালিক, জুলিয়েট রোজারিও, বিভাষ মল্লিক, শেখ শোয়েব সাজ্জাদ, ইলা সরকার ও বিউটি খানম প্রতিবাদ ও মানববন্ধনে উপস্থিত থেকে একাত্মতা ঘোষণা করেন। সমাবেশে ধর্ষণের বিরুদ্ধে পোস্টার প্রদর্শন করা হয়। পোস্টারের আঁকিয়ে শান্তিনিকেতনের ছাত্র রিফাত বিন সালাম।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ