বৈরুত বন্দরে ধ্বংসস্তূপের নিচে একমাস পরে প্রাণের স্পন্দন শনাক্ত!

বৈরুত বন্দরে ভয়াবহ বিস্ফোরণে তৈরি হওয়া ধ্বংসস্তূপের নিচে প্রাণের স্পন্দন শনাক্ত করার পর গত ২ দিন ধরে উদ্ধারকারী দল তাদের অভিযান চালাচ্ছে সেন্সরের মাধ্যমে জীবনের অস্তিত্বের সম্ভাব্য আলামত পাওয়ার পর নতুন করে খোড়াখুড়ি শুরু হয়েছে। খবর বিবিসির।

বৃহস্পতিবার উদ্ধারকর্মীরা জানান, তারা ধ্বংসস্তুপের নিচে সেন্সর দিয়ে প্রাণের স্পন্দন এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের লক্ষণ শনাক্ত করতে পেরেছেন। টপোস চিলি নামে ওই উদ্ধারকারী দলের একজন সদস্য জানান, হৃদস্পন্দটি একটি শিশুর হতে পারে, যার শ্বাস-প্রশ্বাসের শব্দও তারা শুনতে পাচ্ছেন। থার্মাল ইমেজিং পদ্ধতি ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে বন্দরের পাশে ধসে পড়া একটি ভবনের নিচ তলায় এর খোঁজ পান তারা। তিনটি গর্ত করে প্রাণের স্পন্দনের স্থানটির কাছে যাওয়ার চেষ্টা করছে উদ্ধারকারীরা।

জীবিত ওই শিশুটিকে উদ্ধারে জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। উদ্ধারকারী দল হিসেবে সারা বিশ্বে খ্যাতি আছে টপোস চিলির। এর আগে হাইতিতে ভূমিকম্পে ধসে যাওয়া এক ধ্বংসস্তূপ থেকে ২৭ দিন পর এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করে তারা।

গত ৪ আগস্ট বৈরুত বন্দরে প্রচণ্ড বিস্ফোরণ হয়। ওই বিস্ফোরণে পুরো শহর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। এ ঘটনায় ২০০ বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। আর আহত হন পাঁচ হাজারেরও বেশি মানুষ। ঘটনার পর নিখোঁজ হয়ে যান অনেকে। লেবাননের একটি উদ্ধাকারী দলও এখনো সেখানে তাদের অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ