দিরাইয়ে পল্লী বিদ্যুতের বিল নিয়ে বিভ্রান্তি, ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা
সরকারের অগ্রাধিকার উদ্যোগ বাস্তবায়নের অন্যতম প্রধান খাত হিসেবে দেশব্যাপী বিদ্যুৎ খাতের উত্তরণ এখন দৃশ্যত। তারপরেও নানা অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা ও স্বেচ্ছাচারিতার গ্যাড়াকলে গ্রাহক ভোগান্তি ও আর্থিক ক্ষতি এ যেন নিত্য সঙ্গী হয়ে আছে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নবাসীর।
শনিবার (২৭ জুন) কুলঞ্জ ইউনিয়নের মিলনগঞ্জ বাজারে পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তারা বিল নিতে এলে বিক্ষুব্ধ জনতার তোপের মুখে বিদ্যুৎ বিল সংশোধন করে পরবর্তী মাসে বিল নেবেন বলে চলে যান।
পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহকরা কয়েক মাসের অস্বাভাবিক বিদ্যুৎ বিল হাতে পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে অভিযোগ তুলেন, প্রকৃত সত্যকে আড়াল করে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে থেকে মনগড়া ভৌতিক বিলের খড়গ চাপিয়ে নানামুখী ভোগান্তিসহ গ্রাহকের পকেট কেটে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। বিগত কয়েক মাসে মিটারে রিডিং কম থাকলেও বিলের কাগজে তা বেশি লিখে গ্রাহকদের হাতে বিল ধরিয়ে দেয়া হয়েছে বলে ও গ্রাহকদের অভিযোগ।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল তাহিদ নামে একজন গ্রাহক বলেন, আমার মিটারে যে রিডিং রয়েছে বিলের কাগজে সব সময়ই এর থেকে বেশি রিডিং দেওয়া হচ্ছে। আরেকজন গ্রাহক উসমানী বলেন, আমার দুটি বাতি ও একটি ফ্যানে আগে প্রতি মাসে বিদ্যুৎ বিল আসত ২শ’ থেকে ৩শ’ টাকা। অথচ এবার তা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে বিল এসেছে ৮ হাজার ৬ শত টাকা। এটি ভূতুড়ে বিল ছাড়া কিছুই নয়।
দিরাই উপজেলার প্রত্যন্ত ভাটি অঞ্চলের পল্লী বিদ্যুত গ্রাহকদের অভিযোগ রয়েছে প্রচুর। বেরেল বা ট্রান্সমিটার বিকল হলে ফোন ধরেননা বিদ্যুৎ কর্মকর্তারা, যদি ও ধরেন তাহলে চলে নানান টালবাহানা, নিরুপায় হয়ে টাকা দিয়েই কাজ সমাধান করতে হয়, তাহলে আমরা কেন দিচ্ছি সার্ভিস চার্জ ও ডিমান্ড চার্জ। তাছাড়া এলাকায় বিদ্যুৎ থাকেনা বললেই চলে, মাঝেমধ্যে আসে দেখা করতে, আর আকাশের অবস্থা পরিবর্তন বা সামান্য বাতাস হলেই বিদ্যুৎ চলে যায়।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে পল্লী বিদ্যুতের দিরাই সাব জোনাল অফিসের সহকারী ইঞ্জিনিয়ার সাইফুল ইসলাম কালের সিলেটকে বলেন, আমরা আজ প্রথম শুনলাম এ সমস্ত অভিযোগ, আমরা সব অভিযোগ আমলে নিয়ে প্রকৃত বিল থেকে যাদের বেশি বিল এসেছে আগামীতে তা সমন্বয় করে নেয়া হবে এবং যারা যারা দায়িত্ব অবহেলা করেছেন তাদের বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।