মাওলানা আব্দুল জলিল বিয়াবালী ইন্তেকাল করেছেন

বাদেদেওরাইল ফুলতলী কামিল মাদরাসার শিক্ষক হযরত মাওলানা আব্দুল জলিল বিয়াবালী আর নেই। শুক্রবার তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না…..রাজিউন)। বিকাল ৫ টা ৩০ মিনিটে জকিগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম কসকনকপুরে নিজ বাড়ি সংলগ্ন ঈদগাহ মাঠে জানাযার নামায অনুষ্ঠিত হয়।
মাওলানা আব্দুল জলিল বিয়াবালী ১৯৫৬ সালের ১ জানুয়ারি জকিগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম কসকনকপুর (বিয়াবাইল) গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা কারী মো. আমির আলী ও মাতা ফাতিমা বেগম। তিনি ছয় ভাইবোনের মধ্যে তৃতীয় ও পিতা-মাতার একমাত্র ছেলে সন্তান ছিলেন। শৈশবে পিতার নিকট তাঁর শিক্ষার হাতেখড়ি। তিনি স্বীয় পিতার কাছে পবিত্র কুরআন মজীদ, উর্দু ও ফারসী শিক্ষাগ্রহণ করেন। ১৯৭০ সালে তিনি ইছামতি দারুল উলুম কামিল মাদরাসা থেকে আলিম, ১৯৭২ সালে ফাযিল ও ১৯৭৫ সালে কুমিল্লা’র দৌলতগঞ্জ গাজীমুড়া কামিল মাদরাসা থেকে হাদীস বিভাগে কামিল পাশ করেন।
কামিল পাশের পর ১৯৭৫ সালে তিনি বাদেদেওরাইল ফুলতলী কামিল মাদরাসায় যোগদানের মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন এবং ২০১৫ সালে অবসরগ্রহণ করেন। কর্মরত থাকাবস্থায়ই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। মাদরাসায় শিক্ষাদানের পাশাপাশি তিনি এওলাসার জামে মসজিদে সুদীর্ঘ পঁচিশ পঁছর ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। শেষজীবনে কিছুদিন রতনগঞ্জ বাজার জামে মসজিদেও ইমাম হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি শামসুল উলামা আল্লামা ফুলতলী ফুলতলী এর নিকট ইলমে তরীকতের বায়আত গ্রহণ করেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য শিক্ষকমণ্ডলির মধ্যে আরো রয়েছেন, আল্লামা শামসুল হুদা বলরামেরচকী (র.), শায়খুল হাদীস আল্লামা হবিবুর রহমান, আল্লামা আব্দুল জব্বার গোটারগ্রামী (র.) ও স্বীয় ভগ্নিপতি হযরত মাওলানা কাজী মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।
তিনি স্ত্রী, ৬ ছেলে ও তিন মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী ছাত্র রেখে গেছেন। তাঁর ছেলেগণ হলেন, মাওলানা মো. ওয়াজীহ উদ্দিন, মাওলানা মো. মঈন উদ্দিন মাওলানা মো. বাহা উদ্দিন, মাওলানা মো. সালাহ উদ্দিন, মো. ইমাদ উদ্দিন, মো. নিজাম উদ্দিন। আর মেয়েগণ হলেন, মরিয়ম বেগম, সাজেদা আক্তার ও বুশরা আক্তার।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ