আশারকান্দি খসরুর পক্ষ থেকে ১০০০ পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ
করোনা মহামারীর কারণে দীর্ঘমেয়াদী লকডাউনে থাকা ১০০০ অসহায় দরিদ্র পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন জগন্নাথপুর উপজেলার ৮নং আশারকান্দি ইউনিয়নের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আবু বকর খান খসরু। গতকাল তার উদ্যোগে উপজেলার জামালপুর খাঁনবাড়িতে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে ২য় দফায় ১০০০ পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রীর এসব প্যাকেট তুলে দেয়া হয়। এর আগে প্রথম দফায় আবু বকর খান খসরুর পক্ষ থেকে আরো ৫ শতাধিক পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
জগন্নাথপুর উপজেলার কৃতি সন্তান যুক্তরাজ্য প্রবাসী শিক্ষানুরাগী ও বিশিষ্ট সমাজ সেবক, ৮নং আশারকান্দি ইউনিয়নের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোঃ আবুবকর খাঁন খছরুর উদ্যোগে তাঁর চার ভাই (১) আবুল কালাম খাঁন কয়েছ (২) আবু আহমদ খাঁন ইকবাল (৩) আবু মনসূর খাঁন এহিয়া ও (৪) আমির খাঁন ছাব্বিরের সার্বিক সহযোগিতায় ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে এসব ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
বিশিষ্ট মুরব্বী দরাজুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে ও আশারকান্দি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের এর সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমির আহমদ খান ছাব্বিরের পরিচালনায় ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, আশারকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল কয়েছ ইসরাইল, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌরিছ মিয়া মাষ্টার, বিশিষ্ট মুরুব্বি তাহিদ আলি, আব্দুল হান্নান, সোনা মিয়া, গ্রেটার দাওরাই ইউ কে প্রতিষ্টাতা ফাউন্ডার ফারুক মিয়া জিলু, আওয়ামীলীগ নেতা রেজাউুল করিম ইয়াওর, জগন্নাথপুর উপজেলা মানবাধিকার কমিশনের সাধারণ সম্পাদক হাজ্বী সোহেল আহমদ খান টুনু, সমাজসেবী জব্বার মিয়া, মতিন মিয়া, আঙ্গুর মিয়া, ফিরোজ মিয়া, যুক্তরাজ্য প্রবাসী ফজলু মিয়া, ৪নংওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি সাইফুল আলম ছাদ, আশারকান্দি যুবলীগের সাবেক সভাপতি আলাউদ্দিন আহমদ, ইউপি যুবলীগের আহব্বায়ক কমিটির সদস্য কাইয়ুম মিয়া, ইস্তফা খান, সাহিদুল ইসলাম, মনজুর মিয়া, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা হিবু সুলতান, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মুহিবুর রহমান রাসেল, সভাপতি সুজন আহমদ, সহ-সভাপতি সামির হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাছুম আহমদ, সমাজ সেবক শাহজাহান, জগন্নাথপুর উপজেলা রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির জনসংযোগ ও পরিকল্পনা বিভাগীয় প্রধান সালাম আহমদ, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রুবেল হোসাইন, তুহিনুর রহমান, জগন্নাথপুর উপজেলা রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির ক্রিড়া ও সাংস্কৃতিক উপ প্রধান শাকিল আহমদ, দফতর সম্পাদক রাসেল আহমদ রাসু, সহ-সম্পাদক ইমন আহমদ, শ্রমিক লীগ নেতা শাহ আলম। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, গ্রামের বিশিষ্ট মুরুব্বি সুনু মিয়া, ফজর আলি, বারিক মিয়া, আব্দুল মালিক, ছত্তার মিয়া, আনহার মিয়া, আনামিয়া খান, নানু মিয়া, মুহিবুল ইসলাম খান, আরমান উদ্দিন, সাদিকুল ইসলাম খান, রুমেন খান, শামসুদ্দিন, ছুরুক খান, মমিন খান, আলি হোসেন, সাদিক, লকুছ, আক্তার, হাসান খান, লতিব, শিপন, রিপন প্রমূখ।
উপস্তিত নেতৃবৃন্দ, জাতির এই দুর্যোগে অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আবু বকর খান খসরু ও তার ভাইদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। বক্তারা বলেন, খসরু খাঁনের পরিবার ঐতিহ্যগত ভাবেই সমাজসেবী ও জনপ্রতিনিধিত্বশীল। তাঁর দাদা মরহুম ইসরাইল খাঁন ছিলেন তদানিন্তন আমলের একজন স্বনামধন্য ষড়পঞ্চ ও সমাজসেবক। উনার বড়ভাই মরহুম আবূল হাশিম খাঁন ছিলেন একজন নিবেদিত শিক্ষানুরাগী। ষড়পল্লী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ সহ বহু শিক্ষা প্রতিষ্টানের ভিত্তিস্থাপনে তিনি অগ্রনী ভুমিকা পালন করেন। পরোপকারী ও দানশীল হিসেবে তাদের পরিবার এলাকাবাসীর কাছে অভিভাবকতুল্য। রক্তের দায় ও পারিবারিক কারণেই আবু বকর খাঁন সমাজ সেবায় এসেছেন। এই অঞ্চলে খসরুর মত নির্লোভ নিঃস্বার্থ ব্যক্তি জনপ্রতিনিধি হলে সমাজের উপকার শতভাগ ত্বরান্বিত ও বেগবান হবে।