ঈদের নামাজ মসজিদে আদায়ে এসএমপির অনুরোধ
পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের নামাজের জামাত নিকটস্থ মসজিদে আদায়ের অনুরোধ জানিয়েছে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ।
এক বিবৃতিতে মহামারী করোনা (কোভিড-১৯) প্রতিরোধে জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ কর্তৃক জারিকৃত ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় হতে প্রেরিত নির্দেশাবলি অনুসরণপূর্বক নিম্নবর্ণিত শর্তসাপেক্ষে সিলেট নগরবাসীকে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের নামাজের জামায়াত আদায়ের জন্য অনুরোধ করা হয়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের ফেসবুক পেইজে ঈদের নামাজ ও ঈদের যাবতীয় বিষয় নিয়ে বিজ্ঞপ্তি হুবহু তুলে ধরা হলো –
১. বর্তমানে সারা বিশ্বসহ আমাদের দেশে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) এর কারণে মুসল্লীদের জীবনের ঝুঁকি বিবেচনা করে এ বছর ঈদগাহ বা খোলা জায়গার পরিবর্তে ঈদের নামাজের জামায়াত নিকটস্থ মসজিদে আদায় করার জন্য অনুরোধ করা হলো। প্রয়োজনে একই মসজিদে একাধিক জামায়াত অনুষ্ঠিত হবে ।
২. ঈদের নামাজের জামায়াতের সময় মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না। নামাজের পূর্বে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবানুনাশক দ্বারা পরিস্কার করতে হবে। মুসল্লীগন প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্বে জীবানুমুক্ত করে জায়নামাজ নিয়ে আসবেন।
৩. করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধ নিশ্চিতকল্পে মসজিদে ওযুর স্থানে সাবান/হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে।
৪. মসজিদের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার/হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান-পানি রাখতে হবে।
৫. প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে ওযু করে মসজিদে আসতে হবে এবং ওজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।
৬. ঈদের নামাজের জামায়াতে আগত মুসল্লীকে অবশ্যই মাস্ক এবং নিজস্ব টুপি পরে মসজিদে আসতে হবে। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না।
৭. ঈদের নামাজ আদায়ের সময় কাতারে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্য বিধি অনুসরণ করে দাঁড়াতে হবে।
৮. এক কাতার অন্তর অন্তর কাতার করতে হবে।
৯. শিশু, বায়োবৃদ্ধ, যে কোন অসুস্থ্য ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি ঈদের নামাজের জামায়াতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।
১০. সর্বসাধারণের সুরক্ষা নিশ্চিত কল্পে, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে।
১১. করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধ নিশ্চিতকল্পে মসজিদে জামায়াত শেষে কোলাকুলি এবং পরষ্পর হাত মেলানো পরিহার করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।
১২. করোনা ভাইরাস মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের নামাজ শেষে মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে দোয়ার করার জন্য খতিব ও ইমামগণকে অনুরোধ করা যাচ্ছে। এবং
১৩. সম্মানিত খতিব, ইমাম এবং মসজিদ পরিচালনা কমিটি বিষয়গুলো বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবেন।