কৃষকের ধান কেটে দিলেন বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা
করোনাভাইরাসের কারণে লকডাউনে সারাদেশ। বোরো মৌসুম শুরু হওয়ায় শ্রমিক সংকটে দিশেহারা কৃষক। এক স্থান থেকে অন্যস্থানে শ্রমিকরা যেতে না পারায় পাকা ধান ঘরে তোলা নিয়ে চিন্তিত কৃষকের মুখে হাসি ফুটাতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
হাওর প্রধান জেলাগুলোর মধ্যে সুনামগঞ্জ অন্যতম। হাওরের প্রধান ফসল বোরো ধান। বছরে এই একবারই ধান হয় এখানে। সুনামগঞ্জের হাওর এলাকার খাদ্যের জোগান দেয় এই ধান। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানে সাড়া দিয়ে, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য এর নির্দেশনায় মাটি ও মানুষের নেতা সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান জনাব আলহাজ নুরুল হুদা মুকুট এর তথ্যাবধানে সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সংগ্রামী সভাপতি দীপঙ্কর কান্তি দে এর নেতৃত্বে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দ্বিতীয় দফায় কৃষকদের মধ্যে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। খবর পেয়ে দ্বিতীয় দফায় বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের আঙ্গার আলী শনার হাওর গোপালপুর গ্রামের কৃষক সঞ্জিত বিশ্বাস এর তিন বিঘা জমির পাকা ধান কেটে দিল বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ।
সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সংগ্রামী সভাপতি দীপঙ্কর কান্তি দে জানান, এবছর সুনামগঞ্জের হাওরে বোরো ফসলের বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে করোনাভাইরাসের কারনে ফসল তোলা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে কৃষকরা। সুনামগঞ্জের আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী দুই সপ্তাহে টানা বৃষ্টিপাতসহ আগাম বন্যার আশঙ্কা রয়েছে যার ফলে বিশাল হাওরাঞ্চলে উৎপাদিত ধান নষ্ট হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। করোনা সংক্রমণের ফলে বিশ্বে এমনিতেই খাদ্য উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে। এঅবস্থায় হাওরাঞ্চলে উৎপাদিত ধান রক্ষা করা না গেলে ভবিষ্যতে খাদ্য সংকট দেখা দেওয়ার শঙ্কা থাকায় স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে হাওরের মাঠে ধান কেটে দিচ্ছে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ছাত্রলীগ নেতা তারেকুল ইসলাম তালুকদার, রাজিব কান্তি দে, সুহেল রানা, আবু সুফিয়ান তালুকদার, রবিউল রেজা, সৌয়দ হাবিব, রেজুয়ান, রোসমত, মনির, শাহআলম, ফুরকান, শরীফ সিদ্দিকী, সাংবাদিক মোস্তাফিজুর রহমান বাবু প্রমুখ।