তাহিরপুরে লকডাউন করা পরিবারের খোঁজ নেয়নি কেউ, অনাহারেই রাত্রি যাপন
‘নববর্ষের দিন তাহিরপুরের ইউএনও সাহেব আমাদের গ্রামের মেম্বারকে দিয়ে লাল পতাকা টানিয়ে আমার পরিবারকে লকডাউন ঘোষণা করেন। লকডাউন দেওয়ার ১০ দিন পেরিয়ে গেল কিন্তু আজ পর্যন্ত উপজেলা প্রশাসন সহ স্থানীয় কোন ব্যাক্তি আমাদের পরিবারের আর কোন খোঁজ খবর নেয় নি। আমরা কি খেয়েই আছি ? নাকি না খেয়েই আছি ১০ দিনের মধ্যে কেউ খবর নেয় নি। ঘরে যে খাবার ছিল তা আজকে শেষ হয়ে গেছে তাই রাতে কিছু খাওয়া হয়নি।’
জানা গেছে, নববর্ষের দিন তাহিরপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের ভাটি তাহিরপুর গ্রামে আসেন সিলেট এম এ জি ওসমানী হাসপাতালে কর্মরত রেনু মিয়া। সিলেট হাসপাতালে চাকরিরত রেনু মিয়া বাড়িতে আসার সংবাদটি জানতে পেরে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিজেন ব্যানার্জীর নির্দেশনায় স্থানীয় ইউপি সদস্য হুমায়ুন কবির রেনু মিয়ার বাড়িতে লাল পতাকা টানিয়ে লকডাউন ঘোষণা করেন।
লকডাউনে থাকা পরিবারের দাবি, লকডাউন ঘোষণার পর থেকে এ পরিবারের আর কোন খোঁজ খবর নেয়নি উপজেলা প্রশাসন সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি।
পরিবারের সদস্য মবিন নুর আহমেদ জানান,একটি পরিবারে ত ১৪ দিন খাবারের ব্যাবস্থা নাও থাকতে পারে। তবুও ১০ দিন হল ঘরে যা ছিল তা খেয়েই চলছে। ঘরের খাবার শেষ হওয়ায় গত রাতে ( বুধবার, ২২ এপ্রিল) আমাদের পরিবারের লোকজন না খেয়েই রাত কাটিয়েছে। চিন্তা করছি প্রশাসন সহ কেউই যখন আমাদের কোন খোঁজ খবর নেয় নি তাই বাধ্য হয়েই লকডাউন ভেঙ্গেই আজকে বাজারে যাব।
এ ব্যাপারে জানতে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিজেন ব্যানার্জির মুঠোফোনে একাধিক বার কল দিলেও ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয় নি।