চাল চুরি: বরখাস্ত হলেন চার চেয়ারম্যান ও পাঁচ মেম্বার
সরকারের দেয়া ত্রাণের চাল চুরির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
বুধবার নতুন করে চাল চুরি ও আত্মসাতের অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো চার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও পাঁচ ইউপি সদস্যকে।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের পৃথক পৃথক প্রজ্ঞাপনে একথা জানানো হয়।
গত ১২ এপ্রিল একই অভিযোগে একজন ইউপি চেয়ারম্যান ও দুজন সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল।
এবার সাময়িক বরখাস্তকৃত চেয়ারম্যানরা হলেন- পাবনার বেড়া উপজেলার ঢালারচর ইউনিয়ন পরিষদের মো. কোরবান আলী, সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার পাঙ্গাসীর মো. আব্দুস সালাম, বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়নের মো. আলাউদ্দিন পল্টু, বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার ১নং আন্দারমানিক ইউনিয়নের কাজী শহিদুল ইসলাম।
সাময়িক বরখাস্তকৃত ইউপি সদস্যরা হলেন- কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার সুবিল ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. আব্দুল মান্নান মোল্লা, ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার নয়নশ্রী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. সেকান্দার মিয়া, কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার গজারিয়া পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. সোহেল মিয়া, ভোলার লালমোহন উপজেলার ১নং বদরপুর পরিষদের ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য মুহাম্মদ ওমর এবং একই ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. জুয়েল মিয়া।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এরা করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট সংকট মোকাবেলায় সরকারের পক্ষ থেকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল অথবা ভিজিডির চাল আত্মসাত করেছেন। জেলেদের জন্য সরকারের খাদ্যশস্য বিতরণ না করে আত্মসাত করার কারণে গ্রেপ্তার হয়েছে জেলে আছেন। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিতও হয়েছে।
এতে বলা হয়, এসব চেয়ারম্যান ও সদস্য কর্তৃক সংঘটিত অপরাধমূলক কার্যক্রম জনস্বার্থের পরিপন্থী বিবেচনায় স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ এর ৩৪(১) ধারা অনুযায়ী তাদের স্বীয় পদ হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
একইসময় পৃথক পৃথক কারণ দর্শানো নোটিশে কেন চূড়ান্তভাবে তাদের পদ থেকে অপসারণ করা হবে না তা দশ দিনের মধ্যে নিজ নিজ জেলার জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ের কাছে জবাব দিতে বলা হয়েছে প্রজ্ঞাপনে।