আপত্তির মুখে খুনি মাজেদের দাফন হলো শ্বশুরবাড়িতে
আপত্তির কারণে অনেকটা গোপনীয়তার মধ্যেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত খুনি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদের লাশ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলায় তার শ্বশুরবাড়িতে দাফন করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার শম্ভুপুর ইউনিয়নের হোসেনপুর স্কুলের পাশের কবরস্থানে লোকচক্ষুর আড়ালে মাজেদের মরদেহ দাফন করা হয়।
সোনারগাঁও উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম জানান, মাজেদের দাফন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ কেন্দ্রীয়ভাবে করা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হয়নি। সকালে তিনি বিভিন্নজনের কাছ থেকে জানতে পেরে খোঁজখবর নিতে শুরু করেন। জানতে পারেন রাত ৩টার পর মাজেদের মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সে করে এনে দাফন করা হয়েছে।
আবদুল মাজেদের ফাঁসি কার্যকরের মধ্য দিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যা মামলায় মোট ছয়জনের ফাঁসি কার্যকর হলো। ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি দিবাগত রাতে সৈয়দ ফারুক রহমান, বজলুল হুদা, এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ, সুলতান শাহরিয়ার রশীদ খান ও মহিউদ্দিন আহমেদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
রায় কার্যকরের আগেই ২০০১ সালের জুনে জিম্বাবুয়েতে মারা যান আজিজ পাশা। পলাতক রয়েছেন খন্দকার আব্দুর রশিদ, নূর চৌধুরী, রাশেদ চৌধুরী, শরিফুল হক ডালিম ও মোসলেহ উদ্দিন।
বঙ্গবন্ধু হত্যায় জড়িত মাজেদ ২৩ বছর ধরে পলাতক থাকলেও ৬ এপ্রিল মধ্যরাতে রিকশায় ঘোরাঘুরির সময় তাকে মিরপুর থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। গত বুধবার কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করেন মাজেদ। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বৃহস্পতিবার তার আবেদন নাকচ করে দেন।