মুজিববর্ষে জৈন্তাপুর থানার উদ্যোগে ১০০ বৃক্ষরোপন

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মদিন উদযাপন উপলক্ষ্যে জৈন্তাপুর উপজেলার ডিবির হাওর লাল শাপলার বিলে ‘বৃক্ষপ্রেমিক’ ও জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশের যৌথ উদ্যোগে শত বৃক্ষের চারা রোপন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) বিকাল ২টায় মেঘালয়ের সবুজ পাহাড়ের পাদদেশ ঝর্ণাবেষ্টিত জৈন্তাপুর উপজেলার ডিবির হাওর লাল শাপলার বিলে বৃক্ষপ্রেমিক ও জৈন্তাপুর মডেল থানার যৌথ উদ্যোগে ফলজ, বনজ, ঔষধী ও ফুলের শত বৃক্ষের চারা রোপন করা হয়।

শতবৃক্ষের চারা রোপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন- কানাইঘাট সার্কেল এএসপি আব্দুল করিম।

এ সময় আরোও উপস্থিত ছিলেন- জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ্যামল বনিক, জৈন্তাপুর সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক মো. সদরুল আলম, জৈন্তাপুর উপজেলা দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)’র সভাপতি ফনি দে, জৈন্তাপুর ইমরান আহমদ সরকারি মহিলা কলেজের সহকারি অধ্যাপক মো. খায়রুল ইসলাম, জৈন্তাপুর ডিবির হাওর বিওপির কমান্ডার দবিরুল ইসলাম, জৈন্তাপুর প্রেসক্লাবের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন মো. হানিফ, জৈন্তাপুর অনলাইন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. রেজওয়ান করিম সাব্বির, জৈন্তাপুর অনলাইন প্রেসক্লাবের সদস্য দৈনিক শ্যামল সিলেট পত্রিকার জৈন্তাপুর প্রতিনিধি শোয়েব উদ্দিন, একাত্তরের কথা জৈন্তাপুর প্রতিনিধি মো. নাজমুল ইসলাম, শাপলা বিল সুরক্ষা কমিটির সভাপতি সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক কামাল আহমদ, সুরক্ষা কমিটির সদস্য মাহমুদ আলী, সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, জৈন্তাপুর সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক মো. সদরুল আলম ও জৈন্তাপুর উপজেলা দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)’র সভাপতি ফনি দে দীর্ঘদিন থেকে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বট বৃক্ষের চারা, তাল গাছের চারা নিরবে রোপন করে বৃক্ষ আন্দোলন করে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে একটি বড় বট বৃক্ষের চারা রোপনের উদ্যোগ গ্রহন করেন তারা। বিষয়টি স্থানীয় সংবাদ কর্মীদের মাধ্যমে জানতে পেরে জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ্যামল বনিক জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ফলজ, বনজ ও ঔষধী এবং ফুলের শত চারা দিয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকীর কর্মসূচী পালন করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।

এ ব্যপারে বৃক্ষপ্রেমীরা বলেন, জৈন্তাপুর উপজেলার লাল শাপলার রাজ্যের মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া রাস্তাটি যদি স্বেচ্ছা শ্রমের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যাক্তি, প্রতিষ্ঠান এগিয়ে এসে বৃক্ষের চারা রোপন করে তাহলে বিলে আগত পর্যটকরা ছায়া পাবে, পশু-পাখিদের বাসস্থান ও খাদ্যের চাহিদা পূরণ হবে, পাশাপাশি পরিবেশ‘র ভারসাম্য রক্ষা পাবে। নামমাত্র খরচে শতবৃক্ষের চারা রোপন করে স্বেচ্ছাসেবীরা এক অন্যন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ