মুদ্রের রঙে রাঙানো ইস্তাম্বুলের মসজিদ
ইউরোপের মধ্যে সবচেয়ে জনবহুল শহর ইস্তাম্বুল। এটি তুরস্কের দক্ষিণ-ইউরোপীয় অংশে অবস্থিত। শহরটির ঐতিহাসিক নিদর্শন হিসেবে রয়েছে সুলতান আহমেদ মসজিদ। তুর্কি প্রেস, এল্মকে৩.কম, মাসাফির আরবি, উইকিপিডিয়া
মসজিদটির ভিতরের দেয়াল নীল রঙের টাইলস দিয়ে সাজানো। বাইরে থেকে এই নীল রঙের ঝিলিক দেখে অনেকেই একে বলেন, ‘ব্লু মস্ক’ বা নীল মসজিদ।
মসজিদের ভেতরে ঢুকলে মনে হবে সমুদ্র জলরাশির রঙে রাঙানো।
১৬০৯ থেকে ১৬১৬ সালের মধ্যে উসমানীয় সাম্রাজ্যের সুলতান আহমেদ বখতি এই মসজিদ নির্মাণ করেন। ঐতিহাসিক এ মসজিদটির স্থপতি ছিলেন মুহাম্মদ আগা।
১৯৩৪ সালে ‘হাজিয়া সুফিয়া’কে মিউজিয়ামে রূপান্তরিত করার পর ইস্তাম্বুলের প্রধান মসজিদে পরিণত হয় এই নীল মসজিদ।
নীল মসজিদের মিনার ও গম্বুজগুলো সিসা দ্বারা আচ্ছাদিত এবং মিনারের ওপর সোনার প্রলেপযুক্ত তামার তৈরি ইস্পাত ব্যবহার করা হয়েছে।
মসজিদ কমপ্লেক্সে একটি মাদরাসা, একটি পান্থনিবাস ও প্রতিষ্ঠাতার সমাধি অবস্থিত। পাঁচটি প্রধান গম্বুজ, ছয়টি মিনার ও আটটি ছোট গম্বুজ রয়েছে মসজিদটিতে।
২০০৬ সালের ৩০ নভেম্বর এই মসজিদ পরিদর্শনে আসেন পোপ ষোড়শ বেনেডিক্ট। ইতিহাসে এটি ছিল কোন ক্রিস্টান পোপের মসজিদ পরির্দশনে আসার দ্বিতীয় ঘটনা।