অধিনায়কত্ব ছাড়লেন মাশরাফি
অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দিলেন জাতীয় দলের সর্বকালের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা। তবে তিনি খেলা চালিয়ে যাবেন। সিলেটে বৃহস্পতিবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন তিনি।
গুঞ্জন ছিল আগেই। তবে কোনো কিছুই পরিষ্কার ছিল না। কেননা মাশরাফি নিজে বলেননি, বোর্ডের পক্ষ থেকেও নিশ্চিত করে বলা হয়নি এই সিরিজই হবে অধিনায়ক মাশরাফির শেষ।
এবার মাশরাফির মুখ থেকেই এলো ঘোষণাটা। তিনি বলেন, ‘কালকে আমার শেষ ম্যাচ। আমার প্রতি দীর্ঘদিন ধরে আস্থা রাখার জন্য ক্রিকেট বোর্ডকে ধন্যবাদ জানাই। ধন্যবাদ জানাই, আমার নেতৃত্বে যত প্লেয়ার খেলেছে, তাদের ধন্যবাদ জানাই।’
তিনি বলেন, ‘আমি শিউর এ প্রক্রিয়াটা সহজ ছিল না, লাস্ট পাঁচ-ছয় বছরের যে জার্নি ছিল। আমি ধন্যবাদ জানাই, যাদের আন্ডারে আমি খেলেছি বা আমি ক্যাপ্টেন্সি করেছি। তারা সবাই আমাকে ক্লোজলি খুবই সহযোগিতা করেছেন।’
আগামী ৮ মার্চ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভা আছে। বিসিবি সভাপতি এর আগে জানান, ওই সভায় নতুন মেয়াদে কাউকে অধিনায়কত্ব দেওয়া হবে। মাশরাফিও ছিলেন আলোচনায়। তবে মাশরাফি নিজে থেকে নেতৃত্ব ছেড়ে দেওয়ায় এবার নতুন কাউকে বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের নেতৃত্বে দেখা যাবে।
বাংলাদেশ দলে ২০০১ সালে অভিষেক হয় মাশরাফির। ২০১০ সালে প্রথম বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের নেতৃত্ব পান তিনি। কিন্তু ইনজুরির কারণে দীর্ঘ হয়নি প্রথম মেয়াদে পাওয়া তার অধিনায়কত্ব। এরপর ২০১৪ সালে আবার দলের অধিনায়ক হন মাশরাফি। দলকে নেতৃত্ব দেন ২০১৫ ও ২০১৯ সালের বিশ্বকাপে।
মাশরাফির নেতৃত্বে বাংলাদেশ ওয়ানডে ক্রিকেটে নিজেদের শক্তিশালী দল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে। তার অধীনে ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিতে খেলেছে বাংলাদেশ। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে খেলেছে। দলকে তিনি ৮৭ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে ৪৯ ম্যাচে জয় এনে দিয়েছেন। হার দেখেছেন ৩৬ ম্যাচে।