ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনা মধ্যপ্রাচ্যে সংকট বাড়বে: পোপ
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের তৈরি করা ইহুদীবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েল প্রীতির তথাকথিত শান্তি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে সমস্যা আরও বাড়বে বলে মনে করেন পোপ ফ্রান্সিস।
তিনি বলেন, আমরা ইসরাইলি ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে অমীমাংসিত দ্বন্দ্বের মধ্যে পক্ষপাতদুষ্ট সমাধান প্রস্তাবে ঝুঁকি বাড়ানো সমর্থনযোগ্য নয়। তাই নতুন সংকট বাড়ানোর একটি পদক্ষেপকে উপেক্ষা করতে পারি না।
রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দক্ষিণ ইতালীয় বন্দর শহর বারিতে একটি সভায় হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি এসব কথা বলেন।
ফ্রান্সিস বলেন, ‘বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ এবং বিভিন্ন জাতিগত, ধর্মীয় বা বিদ্রোহী দলগুলোর মধ্যকার অস্থিতিশীলতা ও সঙ্ঘাতে ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলটিতে অত্যন্ত ভয়াবহ প্রভাব পড়ছে।’
ট্রাম্পের ২৮ জানুয়ারির এই তথাকথিত পরিকল্পনা ঘোষণার পর থেকে ফিলিস্তিনিদের অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ব্যাপারে প্রথমবারের মতো নিজের মত প্রকাশ করে পোপ কথা বলছেন বলে মনে করা হচ্ছে। পোপ ২০১৮ সালেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন যখন আমেরিকা তার দূতাবাস তেলআবিব থেকে জেরুসালেমে স্থানান্তরিত করার ঘোষণা দিয়েছিল। তিনি বলেছিলেন, শহরটির ‘স্থিতাবস্থা’ সম্মান করা উচিত। এই শহরটির বিষয়ে জাতিসঙ্ঘের সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান জানাতে সবার প্রতি আহ্বানও জানিয়েছিলেন তিনি। রয়টার্স।
আন্তর্জাতিক নীতি লঙ্ঘন করে দখলদার ইহুদীবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েল কর্তৃক ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে অবৈধভাবে ইহুদি বসতি স্থাপনের বিষয়টি বৈধ করতে এপরিকল্পনা করছে ট্রাম্প। যদিও ট্রাম্প দাবি করছে ইসরাইল-ফিলিস্তিনের মধ্যকার কয়েক দশকের বিরোধের অবসান ঘটানোর জন্য পরিকল্পনা, তবুও তার এই পরিকল্পনা খোদ ইসরাইলের পক্ষে যে তা দিবালোকের মতো স্পষ্ট। ইহুদীবাদী সন্ত্রাসীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সাথে হোয়াইট হাউজ থেকে দেওয়া ট্রাম্পের ঘোষণায় ফিলিস্তিনিদের পক্ষে কিছু নেই।
ফিলিস্তিনি ও আরব লিগের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এবং ইসলামী সহযোগী সংস্থা ওআইসি এই পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ আমেরিকা ও ইসরাইলের সাথে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। ফিলিস্তিনি মুসলমানরা ব্যাপক আন্তর্জাতিক সমর্থনসহ পূর্ব জেরুসালেমকে ভবিষ্যতের একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে গড়ে তুলতে চায়।