১২ বছরের রেকর্ড ভাঙলেন তামিম
বিসিএলে পূর্বাঞ্চলের হয়ে ট্রিপল সেঞ্চুরি করেছেন তামিম। রবিবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে ক্যারিয়ারের প্রথম ট্রিপল সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন তামিম। পাকিস্তানে আসন্ন টেস্ট সফরের আগে এটা তার জন্য দারুণ প্রস্তুতিই।
ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে তামিম খেলতে নেমেছিলেন ৬ বছর পর। শনিবার ২০৭ রান করে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিজের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানকেও (২০৬) ছাড়িয়ে গেছেন। দিনশেষে অপরাজিত ছিলেন ২২২ রানে। রবিবার এই রান নিয়ে ব্যাট করতে নেমে তুলে ফেলেন ট্রিপল সেঞ্চুরি। শুভাগত হোমের বলে মিড উইকেটে সিঙ্গেল নিয়ে পৌঁছে যান নিজের প্রথম ত্রিশতকে।
এর আগে ৪৩তম ওভারে শহীদুলের করা পঞ্চম বলটিকে লেগ সাইডে পাঠিয়ে প্রথম একশো করেছেন তামিম। প্রথম সেঞ্চুরিটি করতে খেলেছেন ১২৬ বল। সেঞ্চুরির পর আরেকটু আগ্রাসী হয়ে ওঠেন তিনি। পরের ১০০ রান তুলতে খেলেছেন ১১৬ বল! ৬৯তম ওভারে মধ্যাঞ্চলের শুভাগতর একটি বলে অন ড্রাইভে চার মেরে পৌঁছান ডাবল সেঞ্চুরিতে। দ্বিতীয় দিনশেষে ২২২ রানে অপরাজিত থাকা তামিম তৃতীয় সেঞ্চুরিটি করেন ১৬৫ বলে। সবমিলিয়ে ৪০৭ বলের ইনিংসে ৪০ চার ও ৩ ছয়ে ট্রিপল সেঞ্চুরি করেন বাঁহাতি ওপেনার।
অবশ্য পূর্বাঞ্চলের এই ওপেনারকে খুব বেশি উচ্ছ্বাসও প্রকাশ করতে দেখা যায়নি। তবে মধ্যাঞ্চলের ক্রিকেটাররা তামিমকে অভিনন্দন জানাতে ভুলেননি।
শুধু ট্রিপল সেঞ্চুরিতেই তার ইনিংসটির মর্যাদা সীমাবদ্ধ থাকেনি। ২০০৭ সালে রকিবুলের গড়া ট্রিপল সেঞ্চুরির রেকর্ডটিও নিজের করে নিয়েছেন তামিম। ২০০৭ সালের মার্চ মাসে জাতীয় ক্রিকেট লিগে (এনসিএল)অপরাজিত ৩১৩ রানের ইনিংস খেলেছিলেন রকিবুল। সিলেট বিভাগের বিপক্ষে বরিশালের হয়ে ৬৬০ মিনিট ক্রিজে থেকে ৬০৯ বলে ইনিংসটি সাজান তিনি। রবিবার শুভর বলে সিঙ্গেল নিয়েই রকিবুলের রেকর্ডটি ছাড়িয়ে যান দেশসেরা এই ওপেনার। ফলে রাকিবুলের করা ১২ বছরের এই রেকর্ডের নতুন মালিক এখন শুধুই তামিম।
পূর্বাঞ্চলের অধিনায়ক মুমিনুল হকও অপেক্ষাতে ছিলেন এই রেকর্ডের। তামিমের স্কোর যখন ৩৩৪-এ পৌঁছায় তখনই ইনিংস ঘোষণা দেন তিনি। ড্রেসিংরুমে ফেরার পথে তামিমকে দেওয়া হয় গার্ড অব অনার। পূর্বাঞ্চলের স্কোর তখন ২ উইকেটে ৫৫৫। ৫৮৫ মিনিট ক্রিজে থেকে তামিম ৪২ চার ও ৩ ছক্কায় নিজের ৩৩৪ রানের ইনিংসটি সাজিয়েছেন।