মেসওয়াক ব্যবহারের অবিশ্বাস্য কিছু গুণ….
মুসলমানদের দাঁত মাজার অন্যতম একটি উপকরণ হলো মেসওয়াক। মেসওয়াক ব্যবহারের মাধ্যমে একজন মুসলমান দাঁত মেজে তৃপ্তি লাভ করে। মুসলমানদের মধ্যে এটি গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার অন্যতম কারণ হলো- মেসওয়াক ব্যবহার করা রাসুল সা: এর সুন্নত। রাসুল সা: নিয়মিত মেসওয়াক ব্যবহার করতেন এবং মেসওয়াকের প্রতি গুরত্ব দেয়ার জন্য নির্দেশ দিতেন। এ সম্পর্কে রাসুলের অসংখ্য হাদিস বর্ণনা আছে।
হযরত উমামা রাযিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, হযরত জীবরাইল আলাইহিস সালাম যখনই আমার কাছে আসতেন তখনই আমাকে মেসওয়াকের নির্দেশ দিতেন। (আল্লাহর কসম) আমি আশঙ্কা করছিলাম যে, না জানি আমার মুখে অগ্রভাগ ছিঁড়ে যায় বা একেবার ক্ষয় হয়ে যায়। (আহমদ, ৩৮৬) হাদিসে বর্ণিত মুখের অগ্রভাগ ছিড়ে ফেলা’র দ্বারা উদ্দেশ্য হলো অধিক পরিমাণে মেসওয়াক করার দ্বারা মুখ ক্ষয় হয়ে যাওয়া। অর্থাৎ মেসওয়াকের আধিক্যতা বুঝানো উদ্দেশ্য। নিয়মিত মেসওয়াকে রয়েছে অনেক ফজিলত ও উপকারিতা ।
মেসওয়াক করার দ্বারা মহান আল্লাহর সন্তুষ্ঠি লাভ হয়:
হযরত আয়েশা রাযিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, মেসওয়াক হলো মুখ পবিত্র রাখার মাধ্যম এবং আল্লাহর সন্তুষ্ঠির মাধ্যম। (নাসাই শরিফ) নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চারটি জিনিস সর্বাদিক পছন্দ করতেন- লজ্জা, মেসওয়াক, সুগন্ধি ও বিবাহ।
মেসওয়াক ব্যবহারের মাধ্যমে ঈমানের পূর্ণাঙ্গতা বৃদ্ধি পায় :
নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি সাল্লাম ইরশাদ করেন, মেসওয়াক হচ্ছে ঈমানের অর্ধেক এবং ওজু করাও ঈমানের অর্ধেক। (ফাযায়েলে মেসওয়াক ৬০ পৃষ্ঠা।)
মেসওয়াকের ব্যবহার করলে স্মরণশক্তি বৃদ্ধি পায়:
হযরত আলী ইবনে আবি তালিব রাযিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি সাল্লাম ইরশাদ করেন, মেসওয়াক করার দ্বারা স্মরণশক্তি বৃদ্ধি পায় এবং কফ দূর হয় তাই তিনি বেশি বেশি মেসওয়াক ব্যবহার করতে নির্দেশ দেন । (ফাযায়েলে মেসওয়াক ৬২ পৃষ্ঠা।)
মেসওয়াক মুখের দূরগন্ধ দূর করে:
মেসওয়াক ব্যবহারে অন্যতম একটি গুন হলো মেসওয়াক মানুষের মুখের দূরগন্ধ দুর করে। যা হাদিস এবং বিজ্ঞানীদের গবেষনায় প্রমানিত।
তাছাড়া মেসওয়ক ব্যবহার করলে নিজের মধ্যে সচ্ছলতা বয়ে আনে, দাঁতের মাড়ি শক্ত হয়, মাথা ব্যথা দূর হয় , দাঁতের পীড়া-ব্যথা দূর হয়, , দাঁতের শুভ্রতা ও উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে দেয়।
হযরত আলী (রাযিঃ) ও হযরত আনাছ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে, মেসওয়াক করার বরকতে রিজিক সহজে উপার্জন হয়, মস্তিস্ক ঠান্ডা থাকে, দাঁত শক্ত থাকে, দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি পায়, পাকস্থলী কর্মক্ষম থাকে, শরীর শক্তিশালী থাকে, বাকশক্তি সুন্দর ও আকর্ষণীয় হয়, স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে, জ্ঞান বাড়ায়, অন্তর পরিচ্ছন্ন হয়, নেকী বৃদ্ধি পায় ইত্যাদি।