দোয়ারাবাজারে নিরাপত্তীহনতায় মামলার বাদী, বাড়িঘর লুটপাটের অভিযোগ
দোয়ারাবাজার উপজেলার সদরই উনিয়নের বাজিতপুর গ্রামে হত্যাকান্ডের ঘটনার পর তৃতীয় পক্ষের লোকজন কর্তৃক ঘাতকের পরিবার-পরিজনের বাড়িঘর লুটপাটের ঘটনায় মামলা করায় বাদী এখন নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ এপ্রিল উপজেলার বাজিত পুর গ্রামের রুহুল আমিন রোপা মিয়ার পুত্র জাকির হোসেন ও জিহান ও রহিম উদ্দিনের পুত্র গয়াছ মিয়ার মধ্যে কথাকাটাকাটির জেরে এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে গয়াছ মিয়া ছুরি দিয়ে আঘাত করলে রক্তাক্ত জখমী হয়ে গুরুতর আহত হন দুই ভাই। এর মধ্যে জাকির
হোসেন চিকিৎসাধীন ওই দিন মৃত্যুবরণ করলে পালিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ ঘাতক গয়াছকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করে। ওই ঘটনার পর হত্যা মামলার বাদী পক্ষের আত্মীয়তার সুবাদে একই গ্রামের মৃত মনুমিয়ার পুত্র জামাল উদ্দিন,মওলানা জালাল উদ্দিন, মৃত দিলু মিয়ার পুত্র মিজানুর রহমান,মোশাহিদ ওরফে আশু মিয়াসহ তৃতীয় পক্ষের লোকজন দফায় দফায় ঘাতক গয়াছ মিয়ার বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের তান্ডব চালায়। এসময় তারা নগদ টাকা,৩টি গরু, ৪টি ভেড়া,
স্বর্ণালংকারসহ প্রয়োজনীয় আসবাবপত্রসহ সব কিছু ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় মিনারা বেগম দোয়ারাবাজার থানায় তৃতীয় পক্ষের ৭জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন (মামলা নং১১) মামলার বাদীনি মিনারা বেগম জানান, লুটপাট কারীদের সাথে তার পরিবারের লোকজনের পূর্ব হতেই বিরোধ চলে আসছিল। এবং মূল ঘটনাকে আড়াল করার জন্য তৃতীয় পক্ষ পায়তারা করছে।এরই জের ধরে নিহত জাকির ও তার ভাইয়ের সাথে কথা কাটাকাটির জেরে এক পর্যায়ে অনাকাংখিত ঘটনার সূত্রপাত হয়।পরে হত্যা মামলার বাদী পক্ষ কিছু না করলেও লুটপাট মামলার আসামী গন তাদের লোকজন নিয়ে ঘাতক গয়াছের বাড়িঘর ভাঙচুর করা সহ সব কিছু ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে দোয়ারাবাজার থানায় মামলা দায়ের করলে উল্লেখিত ব্যক্তিগন ক্ষীপ্ত হয়ে মামলার বাদীনি ও তার পরিবারের লোকজন কে খুন করার হুমকি ধমকি দিতে থাকে। বর্তমানের মামলার বাদীনি তাদের ভয়ে ঘরছাড়া হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে দোয়ারাবাজার থানার ওসি আবুল হাসেম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় মিনারা বেগম বাদী হয়ে দোয়ারাবাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ আসামীদের গ্রেফতারের জোর চেষ্টা চালাচ্ছে।