তাহিরপুরে লকডাউন থাকা পরিবারকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশ, পাশে দাড়িয়েছেন ওসি ও আ.লীগের ২ নেতা

লকডাউন থাকা পরিবারের খোঁজ নেয়নি কেউ :: অনাহারে রাত্রি যাপন ” সুনামগঞ্জ ২৪. কম এ এমন সংবাদ প্রকাশের পরপরই লকডাউন থাকা পরিবারের খোঁজ খবর নিয়ে খাদ্য সামগ্রী পাঠিয়েছেন পাঠিয়েছেন তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আতিকুর রহমান, তাহিরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক অমল কান্তি কর ও আ:লীগ নেতা মাহতাবপুর গ্রামের আজাদ হোসাইন।
অপরদিকে আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টায় তাহিরপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে লাল পতাকা সরিয়ে লকডাউন থাকা পরিবারটিকে লকডাউন মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য , নববর্ষের প্রথম দিন তাহিরপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের ভাটি তাহিরপুর গ্রামে আসেন সিলেট এম এ জি ওসমানী হাসপাতালে কর্মরত রেনু মিয়া। সিলেট হাসপাতালে চাকরিরত রেনু মিয়া বাড়িতে আসার সংবাদটি জানতে পেরে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিজেন ব্যানার্জীর নির্দেশনায় স্থানীয় ইউপি সদস্য হুমায়ুন কবির রেনু মিয়ার বাড়িতে লাল পতাকা টানিয়ে লকডাউন ঘোষণা করেন।
লকডাউনে থাকা পরিবারের দাবি ছিল, লকডাউন ঘোষণার ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও এ পরিবারের আর কোন খোঁজ খবর নেয়নি উপজেলা প্রশাসন সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি। ফলে পরিবারে খাবার সংকটের কারনে গতকাল বুধবার রাতে খাবার না খেয়েই রাত কাটিয়েছিল পরিবারটি।
পরিবারের সদস্য মবিন নুর আহমেদ জানান, আমাদের পরিবারটি মুলত স্বচ্ছল পরিবার। কিন্তু লকডাউন থাকার কারনে বাহির থেকে খাদ্য সামগ্রী আনা সম্ভব হয় নি। ফলে খাবার সংকট দেখা দিয়েছিল।
মবিন নুর আহমেদ আরো জানায়, আমাদের পরিবার থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। যারা অল্প সময়ের মধ্যেই আমাদের জন্য খাদ্য সামগ্রী দিয়ে পাঠিয়েছেন।
তবে আমাদের আজ লকডাউন মুক্ত ঘোষণা করায় আমরা এখন বাজার থেকেই খাদ্য সামগ্রী আনতে পারব। এ জন্য আমাদের উদ্দেশ্য পাঠানো খাদ্য সামগ্রীগুলো আমার পার্শ্ববর্তী লকডাউনে থাকা অপর একটি পরিবারের মধ্যে বিতরন করে দিয়েছি।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ