শবে বরাতের যাবতীয় আমল ঘরে করা উচিত
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে শবে বরাত। এ রাতে মানুষ ইবাদত বন্দেগীতে সময় পার করে এবং দিনে রোজা রাখে। আল্লাহ তায়ালার দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা করে, কান্নাকাটি করে শবে বরাত পালন করে থাকে। কিন্তু করোনা ভাইরাসের ক্ষতি থেকে বাঁচতে বর্তমানে অনেক জেলা উপজেলায় লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এমনকি মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জামাতে সীমিত উপস্থিতির পরামর্শ দিয়েছেন দেশের শীর্ষ আলেম সমাজ। তাই এহেন পরিস্থিতিতে একাকীভাবে শবে বরাতের যাবতীয় আমল ঘরে করা উচিত। আর সুন্নাহর তাকাজাও এটাই।
বুধবার (৮ এপ্রল) সন্ধ্যা ৭টায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় আমীর ও আল-জামিআতুল দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালক আল্লামা শাহ্ আহমদ শফী।
তিনি আরও বলেন, ‘শবে বরাতের ফজিলত সম্পর্কে সহীহ ইবনে হিব্বানের হাদীসে এসেছে, “অর্ধ শাবানের রাতে আল্লাহ তায়ালা আপন সৃষ্টির প্রতি বিশেষভাবে মনোনিবেশ করেন। অতঃপর মুশরিক ও (মুসলিম ভাইয়ের সাথে) শত্রুতা পোষণকারী ছাড়া সমস্ত মাখলুককে ক্ষমা করে দেন।”
আল্লামা শফী আরও বলেন, শবে বরাতে একাকী ইবাদত করা রাসূল সা. এর সহীহ হাদীস ও আছারে সাহাবা ( সাহাবীদের আমল ) থেকে প্রমাণিত। তাই বেশি বেশি কুরআন তেলাওয়াত করুন। নিজেদের কৃত গুনাহ থেকে তওবা করুন। মহান আল্লাহ তায়ালার দরবারে কায়মনোবাক্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন। যিকির করুন। দান-সদকা করুন। কবর জেয়ারত করুন। পরিবার পরিজনকে দীনি কাজে বেশি বেশি সম্পৃক্ত করুন।
আল্লামা আহমদ শফী বলেন, শবে বরাতকে কেন্দ্র করে আমাদের দেশে বেশ কিছু রসম ও কুসংস্কার চালু হয়েছে।অনেকে হালুয়া রুটির ব্যবস্থা ও মসজিদ আলোকসজ্জা করে থাকেন। নির্দিষ্ট পরিমাণ রাকাতে জামাত সহকারে নামাজ পড়ে থাকেন। এসব বিদআত কাজ। তাই বাড়াবাড়ি ও ছাড়াছাড়িতে না গিয়ে নিজ নিজ ঘরে একাকী ইবাদতের মাধ্যমে শবে বরাত পালন করা উচিত।