সর্দি, জ্বরে শ্রমিকের মৃত্যু, তাহিরপুরে ৭ পরিবার লকডাউন
ঢাকায় তৈরী পোষাক কারখানা শ্রমিকের মরদেহ সুনামগঞ্জে গ্রামের বাড়িতে দাফন । রাজধানী ঢাকার গাজীপুরে তৈরী পোষাক কারখানায় কর্মরত জহিরুল ইসলাম (২৫) নামে এক শ্রমিকের মরদেহ সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার মাহতাবপুর গ্রামে পঞ্চায়েতি কবরস্থানে নিহতের মরদেহ দাফনের পরপরই নিহতের গ্রামে থাকা বসতবাড়ি সহ সাত বসতবাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।
নিহত শ্রমিক উপজেলার বালিজুড়ি ইউনিয়নের মাহতাবপুর গ্রামের কফিল উদ্দিনের ছেলে। রাতে নিহত শ্রমিকের পরিবারের সদস্যরা জানান, জহিরুল রাজধানী ঢাকার গাজীপুরে একটি তেরী পোষাক কারখানায় শ্রমিক হিসাবে বেশ ক ছর ধরে কর্মরত ছিলেন।
গত কয়েকদিন ধরে তিনি সর্দি জ্বর কাশিতে ভুগে গাজীপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বুধবার রাতে ওখানকার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করলে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বালুচর গ্রামের মালিক উস্তার ও কুলসুমা বেগম নামে দু,স্বজন গাজীপুর হতে তার মরেদহ বৃহস্পতিবার সন্ধায় গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসেন।
তাহিরপুর থানার বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ এসআই মাহমুদুল হাসান জানান, লাশ দাফনের সাথে সাথে নিহত শ্রমিকের গ্রামের বাড়িতে থাকা সাতটি বসতঘরকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়ের নির্দেশে ‘লাল নিশানা টাঙ্গিয়ে লকডাউন করে সর্ব সাধারণকে সতর্ক করা হয়েছে।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিজেন ব্যানার্জী বলেন, শ্রমিকের মরদেহ গ্রামে দাফনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে থানা পুলিশ ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মীদের অবহিত করি এবং করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর ন্যায় দাফন ও পরবর্তী ঝুঁকি মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা দেই।
তাহিরপুর উপজেলা স্বাহ্য ও পরিবারর পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ইকবাল হোসেন বলেন, ঢাকায় আইইডিসিআর’এ যোগাযোগের পর মরদেহের সাথে আসা দু’স্বজনসহ পরিবারের সকল সদস্যকে ১৪দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার পরামর্শ দেয়া হয়।
রাহাদ হাসান মুন্না,সুনামগঞ্জ