মাধবপুরে চাঞ্চল্যকর আউয়াল হত্যা মামলায় আটক আরও ২ জন
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় চাঞ্চল্যকর ইজিবাইক চালক আব্দুল আউয়াল হত্যা মামলায় আরো ২ হত্যাকারীকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার (৩০ মার্চ) তেলিয়াপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর গোলাম মোস্তফার নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল মধ্যরাত থেকে ভোর ৫ টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে মো: রাস্ট্রু মিয়া ওরুফে তাজুল ইসলাম (১৭) ও মো: হাবিবুর রহমান (১৭) নামে দুু’জনকে তাদের নিজ নিজ বাড়ি থেকে আটক করে।
পরে আটককৃতরা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো: সুলতান উদ্দিন প্রধান এর আদালতে হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।
তেলিয়াপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর গোলাম মোস্তফা জানান, গত ১৭ মার্চ একটি সংঘবদ্ধ ইজিবাইক চুর চক্র আব্দুল আউয়াল (২০)কে চা বগানে বেধে রেখে তার ইজিবাইকটি ছিনতাই করবে বলে পরিকল্পনা করে। পরদিন ১৮ মার্চ তারা চা বাগানে ঘুরতে যাবে বলে ভাড়া করে আব্দুল আউয়ালকে নিয়ে যায়। চা বাগানের ভেতরে গিয়ে আব্দুল আউয়ালকে বেধে ফেলার পরে তারা বুঝতে পারে সে তাদের চিনে ফেলেছে। ফলে তারা তাকে হত্যা করে লাশ চা বাগানে ফেলে ইজিবাইকটি নিয়ে যায়।
১৯ মার্চ সন্ধ্যায় সুরমা চা বাগান কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে খবর পেয়ে চা বাগানের কিবরিয়াবাদ এলাকা থেকে আব্দুল আউয়ালের মৃতদেহ উদ্ধার করে। আউয়ালকে হত্যার পর হত্যাকারীরা তাঁর মোবাইলফোন নিয়ে যায়। এই মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে হত্যাকারীদের সনাক্ত করে গত ২৯ মার্চ রাতে তিন হত্যাকারীকে আটক করেলে তারা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো নূরুল হুদা চৌধুরীর আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করে।
এরই ধারাবাহিকতায় আজ মধ্যরাত থেকে ভোর ৫ টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত আরো ২ জনকে আটক করা হয়।
এই দুই জন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো: সুলতান উদ্দিন প্রধানের আদালতে হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।
হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত আরো ২ জন এবং বেচাকেনার সাথে জড়িত ২ জনকে আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানায় পুলিশ৷