করোনা রোগীর সংস্পর্শে আসা ১০৫ জনকে শনাক্ত

গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলায় বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ১১ মার্চ দুই প্রবাসী আসেন। পরে ওই দুই প্রবাসীর দেহে করোনা ভাইরাস শনাক্ত করা হয়। এর ফলে সাদুল্যাপুর উপজেলাকে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন।

আজ বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) সকালে গাইবান্ধার সিভিল সার্জন এ বি এম আবু হানিফ গণমাধ্যমকে বলেন, অল্প কয়েকজনের রক্ত ও কফ নমুনা হিসেবে সংগ্রহ করা হয়েছে। কিন্তু সংখ্যায় তা কত, সেটা বলা যাচ্ছে না। আইইডিসিআরের প্রতিনিধিদল গতকাল বুধবার রাতে এসব নমুনা নিয়ে ঢাকায় ফিরে গেছেন। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর গাইবান্ধায় করোনা ভাইরাসে আরও আক্রান্ত আছেন কি না, তা জানা যাবে।

এ অবস্থায় করোনা আক্রান্ত ওই দুই প্রবাসীর সংস্পর্শে আসা মানুষদের শনাক্ত করার কাজ শুরু হয়। সবশেষ ওই দুই প্রবাসীর সংস্পর্শে আসা ১০৫ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮৯ জনকে শনাক্ত করেছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) একটি প্রতিনিধিদল। এ ছাড়া জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ স্থানীয়ভাবে ১৬ জনকে শনাক্ত করে।

গাইবান্ধা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, জেলায় আজ সকাল ১০টা পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ২। তারা ১০ মার্চ যুক্তরাষ্ট্র থেকে গাইবান্ধায় আসেন। ১৫ মার্চ গাইবান্ধা সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে প্রবাসী মা ও ছেলের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় আইইডিসিআরে পাঠানো হয়। পরে আইইডিসিআর জানায়, তারা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত। সেই থেকে তারা গাইবান্ধা শহরে এক আত্মীয়ের বাসায় আছেন।

দুই প্রবাসীর সংস্পর্শে এসেছিলেন এমন ২০ জনসহ হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন ২২৬ জন। এর মধ্যে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় ৬২ জন, সুন্দরগঞ্জে ৪৫ জন, সদরে ৩৭ জন, সাদুল্যাপুরে ২১ জন, সাঘাটায় ১৯ জন, পলাশবাড়ীতে ১৭ জন ও ফুলছড়িতে ১৬ জন এবং বগুড়ায় ৯ জন। বগুড়ার ৯ জন গাইবান্ধায় এক বিয়ের অনুষ্ঠানে এসেছিলেন। তারা বগুড়ায় হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন।

গত সোমবার সন্ধ্যা থেকে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত আইইডিসিআরের প্রতিনিধিদল দুই প্রবাসীর সংস্পর্শে আসা ৮৯ জনকে শনাক্ত করে। আর জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ স্থানীয়ভাবে ১৬ জনকে শনাক্ত করেছিল। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে গতকাল বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রতিনিধিদলটি নমুনা হিসেবে রক্ত ও কফ সংগ্রহ করে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ