জয়-ই অধিনায়ক মাশরাফিকে বিদায়ী উপহার
অধিনায়ক হিসেবে শেষটা জয়েই রাঙিয়েছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। লিটন দাস ও তামিম ইকবালের ২৯২ রানের বিশ্ব রেকর্ড গড়া জুটির ম্যাচে হোয়াইটওয়াশ জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল। ১২৩ রানে হারিয়ে মাশরাফিকে তিন ম্যাচের সিরিজটি ৩-০ তে উপহার দিয়েছেন সতীর্থরা।
টস জিতে বাংলাদেশকে প্রথমে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানায় জিম্বাবুয়ে।
শুক্রবার সিলেট আন্তজার্তিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে রীতিমতো তাণ্ডব চালান তামিম ইকবাল ও লিটন কুমার দাস। বিকাল চারটায় বৃষ্টি শুরু হওয়ার আগে ৩৩.২ ওভারে ১৮২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন তামিম-লিটন।
দুই ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর ফের যখন খেলা শুরু হয় তখন ম্যাচ নির্ধারণ হয় ৪৩ ওভারে। ব্যাটিংয়ে ঝড় তোলেন লিটন দাস। বৃষ্টির আগে ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেয়া লিটন ছাড়িয়ে যান দেশ সেরা ওপেনার তামিম ইকবালকে।
সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে নিজের আগের গড়া ১৫৪ রানের ইনিংসের রেকর্ড ভেঙে দেশের হয়ে সর্বোচ্চ ১৫৮ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তামিম। দুই দিনের ব্যবধানে তার সেই রেকর্ড ভেঙে দেন লিটন দাস।
ইনিংস শেষ হওয়ার ১৩ বল আগে একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন লিটন। সাজঘরে ফেরার আগে ১৪৩ বলে ১৬টি চার ও ৮টি ছক্কার সাহায্যে ১৭৬ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।
ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ রানের এই ইনিংস খেলার পথে শুধু তামিম ইকবালকেই নয়, কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান ব্রায়ান লারা, রিকি পন্টিং ও কুমার সাঙ্গাকারার মতো তারকা ব্যাটসম্যানদেরও ছাড়িয়ে যান লিটন।
লিটনের বিদায়ের আগেই ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৩তম এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২৩তম সেঞ্চুরি হাঁকান তামিম ইকবাল। ইনিংসের শুরুতে ওপেন করতে নেমে শেষ বল পর্যন্ত খেলে যান তিনি।
আগের ম্যাচে ১৩৬ বলে ১৫৮ রান করা তামিম এদিন খেলেন ১০৯ বলে ৭টি চার ও ৮টি ছক্কায় ১২৮ রানের ইনিংস। লিটন-তামিমের জোড়া সেঞ্চুরিতে ৪৩ ওভারে ৩ উইকেটে ৩২২ রানের পাহাড় গড়ে বাংলাদেশ।
জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের গতির শিকার হয়ে সময়ের ব্যবধানে উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। তবে দলটির তারকা ব্যাটসম্যান সিকান্দার রাজার ৬১ আর ওয়েসলি মাধেভার ৪২ রানের ইনিংসে ভর করে ৩৭.৩ ওভারে শেষ পর্যন্ত ২১৮ রানে অলআউট হয় জিম্বাবুয়ে। ১২৩ রানের সহজ জয় পায় বাংলাদেশ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ: ৪৩ ওভারে ৩২২/৩ (লিটন ১৭৬, তামিম ১২৮*, আফিফ ৭, মাহমুদউল্লাহ ৩)।
জিম্বাবুয়ে: ৩৭.৩ ওভারে ২১৮/১০ (সিকান্দার রাজা ৬১, মাধেভার ৪২; সাইফউদ্দিন ৪/৪১)।
ফল: বাংলাদেশ ১২৩ রানে জয়ী।