এখন বিশ্বাস করি অস্ত্র নয়, আল্লাহই শক্তিশালী: শামীম ওসমান
এক সময় জেলা পুলিশের চেয়েও বেশি অস্ত্র নিজের কাছে থাকার কথা বলে আবার আলোচনায় এসেছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান। তবে একদিন পরেই নারায়ণগঞ্জের এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, আর কোনো অবৈধ অস্ত্র নেই তার কাছে।
তিনি বলেন, আগে মনে করতাম অস্ত্রই শক্তিশালী, কিন্তু এখন বিশ্বাস করি পৃথিবীতে একমাত্র আল্লাহ শক্তিশালী৷
গত রবিবার (২ মার্চ) নারায়ণগঞ্জ পুলিশ লাইন মাঠে পুলিশ মেমোরিয়াল ডে’র আলোচনা সভা ও সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শামীম ওসমান বলেন, ২০০১ সালের আগে জেলা পুলিশ ফোর্সের কাছে যত অস্ত্র না ছিল, তার থেকে বেশি অস্ত্র একা আমার নিজের কাছেই ছিল।
সোমবার ওই বক্তব্যের বিষয়ে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, আমি যা বলেছি ঠিকই বলেছি। তবে সময়টি হবে ১৯৯১ সাল। তখন আমার বয়স ছিল ২২ বছর। আমি ভুলে ২০০১ সাল বলে ফেলেছি। আমার কাছে তো অস্ত্র ছিল। আমরা গোলাগুলি, ফাটাফাটি তো করেছি। এটা অস্বীকার করবো কিভাবে?
শামীম ওসমান সেই অবৈধ অস্ত্র রাখার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত আমরা অস্ত্র ব্যবহার করতে বাধ্য হয়েছি। কারণ, ওই সময়ে স্বাধীনতাবিরোধী, যুদ্ধাপরাধীরা এবং বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীরা সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে অংশ নিয়েছে। মিথ্যা কথা বলবো না, তখন আমরা অস্ত্র জোগাড় করতে বাধ্য হয়েছি। বঙ্গন্ধুকে মেরে ফেলার পর আমরা মনে করেছিলাম প্রতিশোধটা আমরা হত্যার মাধ্যমে নেবো। কিন্তু আমাদের এই ধারণা পরিবর্তন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, হত্যার মাধ্যমে প্রতিশোধ নয়, আইনের শাসনের মাধ্যমে প্রতিশোধ।
শামীম ওসমানের দাবি, ১৯৯১ সালে দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরে আসার পর তার আর অস্ত্রের প্রয়োজন হয়নি। তাই জমা দিয়ে দেন। তিনি জানান, ওই সময় নারায়ণগঞ্জের এসপি ছিলেন মমিন উল্লাহ পাটোয়ারি। তখন তিনি ও তার সহযোগীরা পুলিশের কাছে লাইন ধরে, প্যাকেট ভরে সব অবৈধ অস্ত্র জমা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, যখন অস্ত্র ছিল, তখন বয়স কম ছিল। তখন আমি অস্ত্রের ওপর নির্ভর করতাম। মনে করতাম অস্ত্রই শক্তিশাী। কিন্তু এখন আমি বিশ্বাস করি অস্ত্র শক্তিশালী না, একজনই শক্তিশালী, তিনি হচ্ছেন আল্লাহ৷