‘মোদিকে প্রতিহতের ঘোষণায় সরকার বিব্রত নয়’

মুজিব বর্ষের অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশে এলে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

সেতুমন্ত্রী বলেন, মোদিকে প্রতিহতের ঘোষণায় সরকার বিব্রত নয়। তবে যারা এটা করছেন, ঠিক করছেন না। মুজিববর্ষ উপলক্ষে মোদিকে স্বাগত জানানো তাদের উচিত।

সোমবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। এ সময় ওবায়দুল কাদের এ কথা জানান।

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষের অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আসা প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছে বিভিন্ন দল ও সংগঠন। তবে মোদিকে এই প্রতিহতের ঘোষণায় সরকার বিব্রত নয় বলে জানিয়েছেন ওবায়দুল কাদের।

ভারতের বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে চলমান সহিংসতা নিয়ে পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেন, দিল্লির সাম্প্রতিক সহিংসতা পূর্বপরিকল্পিত। এটির তদন্ত চলছে। বর্তমান সরকার ভারতের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য সহানুভূতিশীল।

এর আগে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা দুই দিনের সফরে সকাল ৯টায় ঢাকায় পৌঁছান। এ সময় তাকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বাগত জানান বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন নরেন্দ্র মোদি। আগামী ১৭ মার্চ ঢাকায় অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি। সেই সফর চূড়ান্ত করতেই ঢাকায় এসেছেন শ্রিংলা।

মুজিববর্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর চূড়ান্ত করতে আজ সকাল ৯টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান হর্ষবর্ধন শ্রিংলা।

এরপর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ‘বাংলাদেশ-ভারত : একটি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক এক সেমিনারে শ্রিংলা বলেন, আসামে যে নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) হালনাগাদ করা হয়েছে, সেই প্রক্রিয়াটি পুরোপুরিই ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। বাংলাদেশের জনগণের ওপর ওই প্রক্রিয়ার কোনো প্রভাব থাকবে না।

এছাড়া তিস্তার পানি বন্টন বিষয়ে ভারত সরকার তাদের প্রতিশ্রুতি থেকে সরে আসেনি, অভিন্ন সব নদী নিয়ে সমস্যারও সমাধান হবে বলে জানান তিনি।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ