তৃতীয় ডাবল সেঞ্চুরি মুশফিকের

মিরপুরে টেস্ট ক্যারিয়ারের তৃতীয় ডাবল সেঞ্চুরি করে দীর্ঘদিনের সতীর্থ তামিম ইকবালকে পেছনে ফেলেছেন ‘মিস্টার ডিপেন্ডেবল’। টেস্টে বাংলাদেশের পক্ষে মুশফিকের এখন সর্বোচ্চ ৪ হাজার ৪১৩ রান। একটু পিছিয়ে তামিম ৪ হাজার ৪০৫ রানে দাঁড়িয়ে।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৪ হাজার ২১০ রান নিয়ে নেমেছিলেন মুশফিক। তামিমকে ছুঁতে প্রয়োজন ছিল ১৯৫। সিকান্দার রাজার বলে ড্রাইভ করে দুই রান নিয়ে তামিমের পাশে দাঁড়ালেন। পরের ওভারে এইন্সলি এনডিলোভুর বলে সিঙ্গেল নিয়ে বাঁহাতি ওপেনারকে ছাড়িয়ে যান মুশফিক।

এরপর অপেক্ষা ডাবল সেঞ্চুরির। সেজন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষায় থাকতে হয়নি। এনডিলোভুর অফস্টাম্পের বাইরের বল পয়েন্টের ওপর দিয়ে চার মেরে ডাবল সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মুশফিক। তারপরই ব্যাটকে তলোয়ারের মতো ঘুরিয়ে, দুই হাত তুলে মেতে ওঠেন উল্লাসে, ড্রেসিং রুমের দিকে ছুড়ে দেন ‘ভালোবাসা’। বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে তিনটি ডাবল সেঞ্চুরির উল্লাস তো বিশেষ হবেই। ৪৩৪ মিনিটে ৩১৮ বলে অপরাজিত ২০৩ রানের ইনিংসটা সাজানো ২৮টি বাউন্ডারিতে।

বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করার কৃতিত্বও মুশফিকের। ২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গলে ঠিক ২০০ রান করেছিলেন তিনি। দুই বছর পর পাকিস্তানের বিপক্ষে খুলনা টেস্টে দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি ছিল তামিমের, ২০৬ রান।

২০১৭ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়েলিংটনে ২১৭ রান আসে সাকিব আল হাসানের ব্যাট থেকে। পরের বছর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই মিরপুরেই মুশফিক ২১৯ রান করে অপরাজিত ছিলেন। টেস্টে এখনও এটা বাংলাদেশের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংস। আজ তৃতীয় ডাবল সেঞ্চুরি করে নিজেকে ধরাছোঁয়ার বাইরে নিয়ে গেলেন মুশফিক।

টেস্ট ক্রিকেটে বেশ কিছুদিন ধরে ব্যর্থতায় ঘুরপাক খাচ্ছে বাংলাদেশ। আগের তিন টেস্টে হেরেছে ইনিংস ব্যবধানে, তার আগে এমনকি আফগানদের বিপক্ষেও হার এড়াতে পারেনি। ঠিক এমন সময় মুশফিকের ডাবল সেঞ্চুরি যেন গুমোট আবহাওয়ার পর এক ঝলক টাটকা বাতাস।

মিরপুর টেস্ট শুরুর আগে সেঞ্চুরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মুমিনুল হক। আজ অধিনায়কের সেঞ্চুরিকে ম্লান করে মুশফিক করলেন ডাবল সেঞ্চুরি। শেষ বিকেলে নাঈম হাসানের জোড়া আঘাতে বাংলাদেশের সামনে জয়ের হাতছানি।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ