তিনটি হজ প্যাকেজ অনুমোদন

মন্ত্রিসভায় ‘হজ প্যাকেজ ১৪৪১ হিজরি/২০২০ খ্রিস্টাব্দ’ এর খসড়ার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংকালে এ তথ্য জানিয়েছেন।

এর আগে সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এবার চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ৯ জিলহজ ১৪৪১, ৩০ জুলাই ২০২০ পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। এবার সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৭ হাজার ১৯৮ জন, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ২০ হাজার জনসহ মোট ১ লাখ ৩৭ হাজার ১৯৮ জন হজ পালনের জন্য সৌদি আরব যাবেন। হজযাত্রীর বিমান ভাড়া, সৌদি আরবে বাড়ি ভাড়া, সার্ভিস চার্জ, মোয়াল্লেম ফি, জমজমের পানি, খাবার এবং অন্যান্য খরচবাবদ সরকারি ব্যবস্থাপনায় তিনটি হজ প্যাকেজ এবং বেসরকারি ব্যবস্থপানায় এজেন্সিগুলোর জন্য একটি প্যাকেজের প্রস্তাব করা হয়েছে। সেই প্রস্তাব আজ কেবিনেট বৈঠকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম আরও বলেন, সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্যাকেজ-১ এর আওতায় সর্বমোট চার লাখ ২৫ হাজার টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় ৬ হাজার ৫০০ টাকা বেশি। প্যাকেজ-২ এর আওতায় সর্বমোট তিন লাখ ৬০ হাজার টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় ১৬ হাজার টাকা বেশি। সরকারি ব্যবস্থাপনায় এবারই প্রথম তৃতীয় প্যাকেজ সরকার প্রবর্তন করেছে। এর আওতায় সর্বমোট ৩ লাখ ১৫ হাজার টাকার প্রস্তাব করা হয়েছে।

কেবিনেট সবিচ বলেন, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীর জন্য ৩ লাখ ৫৮ হাজার টাকার প্যাকেজ প্রস্তাব করা হয়েছে। সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ এজেন্সিগুলো সরকারি প্যাকেজ-১, প্যাকেজ-২ ও প্যাকেজ-৩ এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে একাধিক প্যাকেজ ঘোষণা করতে পারবে।

কেবিনেট সচিব আরও বলেন, সরকারি ব্যবস্থাপনার প্যাকেজ-১ এর আওতায় হজযাত্রীরা মসজিদুল হারাম চত্বরের সীমানা থেকে সর্বোচ্চ ৭০০ মিটার, প্যাকেজ-২ এর হজ যাত্রীরা ১৫০০ মিটার এবং প্যাকেজ-৩ এর হজযাত্রীরা ১৫০০ মিটারের অধিক দূরত্বে অবস্থান করবেন। প্রত্যেক হজ এজেন্সি কমপক্ষে ১০০ জন, সর্বোচ্চ ৩০০ জন হজযাত্রী পাঠাতে পারবেন। হজ এজেন্সিগুলো কোনও অবস্থায় ৩০০ এর বেশি টিকিট দিতে পারবে না।

যারা পবিত্র হজ পালন করতে যাবেন তাদের পাসপোর্টের মেয়াদ ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মেয়াদ থাকতে হবে। প্রতি ৪৪ জন হজযাত্রীর জন্য একজন গাইড নিয়োগ করা হবে।

হজযাত্রীদের কোরবানির ব্যয়ের টাকা ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে এবং এর জন্য প্যাকেজ ছাড়া অতিরিক্ত ৫২৫ সোদি রিয়ালের সমপরিমাণ ১২ হাজার ৭৫ টাকা সঙ্গে নিতে হবে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ