ইউটিউব থেকে গুগলের আয়
জানালো বিস্তারিত
সার্চ ইঞ্জিন জায়ান্ট গুগলের প্যারেন্ট কোম্পানি অ্যালফাবেট। এ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের অধীনে বেশ কয়েকটি কোম্পানি রয়েছে। এর মধ্যে আয়ের প্রধান উৎস হিসেবে বিবেচনা করা হয় গুগল সার্চ, ইউটিউব ও ক্লাউড ব্যবসাকে। বিজ্ঞাপন ও গুগলের অন্যান্য বিভাগের তথ্য প্রকাশ করলেও এ তিন বিভাগের রাজস্ব সম্পর্কে কখনই বিস্তারিত তথ্য উন্মোচন করেনি অ্যালফাবেট। তবে এবার করেছে। বণিক বার্তা
আর্থিক প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, গত বছরের শেষ প্রান্তিকে ইউটিউব অ্যাড থেকে রাজস্ব আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩১ শতাংশ বেড়ে ৪৭০ কোটি ডলার হয়েছে। আর সামগ্রিকভাবে অ্যালফাবেটের রাজস্ব ১৭ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৪ হাজার ৬০০ কোটি ডলার। সে হিসাবে অন্তত গত দুই বছরের তুলনায় রাজস্ব বৃদ্ধির হার শ্লথ।
গত সোমবার কোম্পানির প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) রুথ পোর্যাট এক বিবৃতিতে বলেন, ব্যবসার অভ্যন্তরীণ অবস্থা ও সম্ভাবনার চিত্র এখন থেকে তারা জনসমক্ষে আনবেন। সার্চ, ইউটিউব অ্যাডস ও ক্লাউড ব্যবসার আয়-ব্যয়ও আলাদা করে তুলে ধরা হবে।
সামগ্রিকভাবে রাজস্ব আয়ে প্রবৃদ্ধির ধারা বজায় থাকলেও ওয়াল স্ট্রিটের বিশ্লেষকদের পূর্বাভাস ছুঁতে ব্যর্থ হয়েছে গুগল। এর প্রভাব পড়েছে শেয়ারদরে। গত সোমবার অ্যালফাবেটের শেয়ারের দাম ৪ শতাংশেরও বেশি নেমে গেছে।
রাজস্ব প্রবৃদ্ধির গতি শ্লথ হয়ে গেলেও কোম্পানির অবস্থান এখনো বেশ শক্তিশালী বলেই মনে করছেন স্টকব্রোকার হারগ্রিভস ল্যান্সডাউনের ইকুইটি বিশ্লেষক নিকোলাস হায়েট। তিনি বলেন, বিশ্লেষকদের ধারণা অনুযায়ী পারফর্ম করতে না পারলেও গুগলের অবস্থান এখনো বেশ শক্তিশালী। তাদের কোর বিজনেস যেমন সার্চ, ইউটিউব এখনো আয়ের বড় উৎস।
গুগলের বিজ্ঞাপন থেকেও আয় গত বছরের শেষ প্রান্তিকে ১৭ শতাংশ বেড়ে ২ হাজার ৭২০ কোটি ডলার হয়েছে। অ্যালফাবেট প্র্রান্তিক মুনাফা দেখিয়েছে প্রায় ১ হাজার ৭০ কোটি ডলার। সে হিসাবে গত বছরের তুলনায় মুনাফা ১৯ শতাংশ বেড়েছে। এর মধ্যে অবশ্য গুগলের খরচও বেড়েছে ১৮ শতাংশ। ডাটা সেন্টার স্থাপন ও নতুন কর্মী নিয়োগসহ সামগ্রিকভাবে এ প্রান্তিকে ব্যয় করেছে ৩ হাজার ৬৮০ কোটি ডলার।
গত বছর অ্যালফাবেটের রাজস্বে ইউটিউবের অবদান ছিল ১০ শতাংশ। ইউটিউব অ্যাড থেকে আয় হয়েছে ১ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের বেশি। তাছাড়া শেষ প্রান্তিকে ইউটিউবের বিজ্ঞাপন থেকে আয় বেড়েছে ৩৬ শতাংশ। অবশ্য ২০১৭ সালে আয় বৃদ্ধির হার ছিল ৮৬ শতাংশ।