নতুন নির্বাচন চান ফখরুল
নতুন করে ঢাকার দুই সিটির নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি হয়েছে এমন মন্তব্য করে তিনি বলেছেন, ‘১ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় যে ভোট হয়ে গেল, সেই নির্বাচনে জনগণের মতামতের প্রতিফলন ঘটেনি। নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারেনি। এ কারণে নির্বাচনের ফল বাতিল করে নতুন নির্বাচনের আহ্বান করছি।’
বুধবার সকালে ঢাকার গুলশানের ইমানুয়েলস কনভেনশন হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান তিনি। সিটি করপোরেশন নির্বাচন পরিবর্তী এই যৌথ সংবাদ সম্মেলন ডাকে বিএনপির দুই প্রার্থী।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে আছে। তারা অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে নির্বাচন ব্যবস্থাটাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। অত্যন্ত সচেতনভাবে জনগণকে তাদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করেই যাচ্ছে। জনগণের ওপর আস্থা না থাকায় নির্বাচন ব্যবস্থাটাকে ধ্বংস করে দিয়ে দেশকে একদলীয় বাকশালের দিকে নিয়ে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। দলটি ১৯৭৫ সালে বাকশাল কায়েমের মধ্য দিয়ে যে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে চেয়েছিল, তারই ধারাবাহিকতায় এখন ভিন্ন কৌশলে নতুনরূপে বাকশালী কায়দায় দেশ পরিচালনা করা হচ্ছে।
ঢাকার দুই সিটিতে ৭ থেকে ৯ শতাংশ মানুষ ভোট দিয়েছে দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত স্পষ্ট ভাষায় বলছি- এই সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের ওপর জনগণের কোনো আস্থা নেই। সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের এত আয়োজনের পরেও ভোটাররা তাদের ওপর আস্থা রাখতে পারেনি। সে কারণে আমরা দেখতে পেলাম- নির্বাচনে ৭ থেকে ৯ শতাংশের বেশি লোক ভোট দেয়নি।
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ছাড়া গণতান্ত্রিক আন্দোলন এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার কখনোই সম্ভব না। বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে ঢাকার দুই সিটির নির্বাচনে ভোটের ফল সম্পূর্ণ প্রত্যাখ্যান করেন বিএনপির দুই প্রার্থী তাবিথ আউয়াল ও ইশরাক হোসেন। তারা নির্বাচনে কেন্দ্রদখল, এজেন্ট বের করে দেয়া, ফল কারচুপির অভিযোগ তোলেন।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, বরকত উল্যাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী প্রমুখ।