ধর্মপাশায় টিনের জরাজীর্ণ ঘরে পাঠদান

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় একটি বিদ্যালয়ে টিনশেড ঘরেই চলছে পাঠদান কার্যক্রম। উপজেলার মধ্যনগর ইউনিয়নের গলহা উচ্চ বিদ্যালয়টির পশ্চিম পাশে অবস্থিত আধাপাকা ভবনে দাপ্তরিক কার্যক্রম হওয়ার পাশাপাশি শিক্ষক মিলনায়তন ও ছাত্রীদের কমন রুম হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এ বিদ্যালয়ের উত্তর ও পূর্ব দিকে দুটি আলাদা টিনশেড ঘরে চলে শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম। আর উত্তর দিকের টিনশেড ঘরের অবস্থা খুবই নাজুক।

শেণিকক্ষের মরিচাপড়া টিনের বেড়া ভেঙে ভেঙে পড়ছে। এই ঘরের তিনটি শ্রেণিকক্ষই জরাজীর্ণ। পূর্ব দিকের ঘরের মাঝখানে টিন দিয়ে দুটি শ্রেণিকক্ষ তৈরি করা হয়েছে। এ দুটি শ্রেণিকক্ষেরও বেহাল দশা। শ্রেণিকক্ষগুলোতে আসন সংকট থাকায় শিক্ষার্থীদের গাদাগাদি করে বসতে হয়। এতে পাঠদান ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। দীর্ঘ ৪৪বছর ধরে এভাবেই চলছে বিদ্যালয়টি।

১৯৭৬ সালে নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে হিসেবে এ বিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়। পরে ২০১০ সালে শুরু হয় মাধ্যমিকের কার্যক্রম। বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে ছয় শতাধিক শিক্ষার্থীর বিপরীতে শিক্ষক আছেন মাত্র ৮ জন। সম্প্রতি বিদ্যালয়টিতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শ্রেণিকক্ষগুলোতে নেই কোনো সিলিং ও পর্যাপ্ত ফ্যানের ব্যবস্থা।

শিক্ষকেরা জানান, এতে করে গ্রীস্মকালে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অধিক গরম সহ্য করতে হয়। বর্ষাকালে ভাঙা টিনের ছিদ্র দিয়ে পানি পড়ে শ্রেণিকক্ষে। ফলে শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে আসতে আগ্রহ হারায়। গরম ও বর্ষাকালে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমে যায়।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিধান চন্দ্র তালুকদার বলেন, ‘বিদ্যালয়টি উপজেলার একপাশে অবস্থিত হওয়ায় এর জরাজীর্ণ শ্রেণিকক্ষগুলো কারও নজরে আসে না। এ অবস্থায় পাঠদান চালানো খুব কষ্টকর। সুষ্ঠুভাবে পাঠদানের জন্য দ্রুত এ বিদ্যালয়ে একটি ভবন নির্মাণ জরুরি।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এমএ মান্নান বলেন, ‘বর্তমান সময়ে একটি বিদ্যালয়ের এমন অবকাঠামো থাকতে পারে, তা আমাদের বিদ্যালয়টি না দেখলে বোঝা যাবে না। হাওরাঞ্চলের শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে বিদ্যালয়টির অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ বিভিন্ন সংকট দূরীকরণে সংশ্নিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

সিলেট শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী নজরুল হাকিম বলেন, ‘বিদ্যালয়টিতে বন্যা আশ্রয়ণকেন্দ্র সম্পৃক্ত একটি পাঁচতলা (নিচতলা খালি) বিশিষ্ট ভবন নির্মাণের জন্য ইতোমধ্যে সার্ভে করা হয়েছে। টেন্ডার করার অনুমতি চলে এসেছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ