তদন্ত ছাড়াই মামলা এফআইআরের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন
সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহাব উদ্দিন আহমদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার কোন ধরণে তদন্ত ছাড়াই থানায় মামলা এফআইআর হিসেবে নথিভুক্ত করার অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।
বুধবার ঢাকা দক্ষিণ এলাকাবাসীর পক্ষে সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়। লিখিত বক্তব্যে তারা বলেন, ‘এলাকার একজন শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবক এবং পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ হিসেবে শাহাব উদ্দিন আহমদ পরিচিত। তিনি দীর্ঘ ২৪ বৎসর ঢাকাদক্ষিণ আওয়ীলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন এবং ১৩ নভেম্বর উপজেলা আওয়ামীলীগ সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ছিলেন। স্থানীয় প্রায় প্রতিটি স্কুল, কলেজ ও মাদরাসায় শিক্ষানুরাগী সদস্য বা সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।’
তাদের দাবি, ‘স্থানীয় এক ব্যক্তি শাহাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা দায়ের করলে আদালত আইননানুগ ব্যবস্থা নিতে থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন। কিন্তু গোলাপগঞ্জ থানা পুলিশ কোন ধরণের তদন্ত ছাড়াই মামলাটি এফআইআর করে নিয়েছে।’
তারা অভিযোগ করেন, ‘একটি কুচক্রীমহল সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে ও প্রতিহিংসামূলক কারণে শাহাব উদ্দিন আহমদকে আসামি করে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও কাল্পনিক ঘটনার বর্ণনা দিয়ে মামলা দায়ের করেছে। স্থানীয় রায়গড় গ্রামের কাজী মকবুল হক তার জমির ৮শ গাছ কেটে ধ্বংস কর, মারপিট, হুমকি এবং ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেছেন বলে আদালতে মামলা দায়ের করেন। কিন্তু স্থানীয় যে খেলার মাঠে কাজী মকবুল হক তার ৭০ শতক ভূমি রয়েছে বলে মামলা করেছেন সেই খতিয়ানে জমির পরিমান ৩.৮০ একর। মাঠটি দীর্ঘদিন থেকে এই এলাকার শিশু-কিশোর ও যুবকদের খেলাধুলার স্থান হিসেবে ব্যবহত হয়ে আসছে। ফুটবল-ক্রিকেটের বড় বড় টুনামেন্টও এই মাঠে আয়োজিত হয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি বরাদ্দ থেকে একাধিক বার মাঠে উন্নয়ন কাজও হয়েছে খেলার মাঠে ৮শ গাছ কাটা, হুমকি ও চাঁদা দাবির অভিযোগ যে বানোয়াট তা এখনো কেউ গেলেই খালি চোখে দেখতে পারবেন।’
তারা বলেন, আদালত মকবুল হকের মামলার বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার নিকট প্রেরণ করেন। কিন্তু কোন ধরণের তদন্ত ছাড়াই থানা পুলিশ মামলাটি এফআইআর করে। উপজেলার একজন সর্বজন পরিচিত স্বজ্জন ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোন ধরনের তদন্ত ছাড়াই মামলা এফআইআর করায় মানুষ বিষ্মিত-হতবাক হয়েছেন। বিষয়টি জানার পরপরই এলাকাবাসী তাৎক্ষণাত গোলাপগঞ্জ সার্কেল পুলিশ সুপারের সাথে দেখা করে এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
তারা কোন অন্যায়ের পক্ষে নয় উল্লেখ করে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উন্মোচন করতে প্রশাসনসহ সকলের সুদৃষ্টি কামনা করেন এবং অন্যায় হয়রানি বন্ধের দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ঢাকাদক্ষিণ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ফখরুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মজিদ রুশন, অধ্যক্ষ আব্দুল মুতলিব, আব্দুর নূর মছলাই, আব্দুল মতলিব, মসুদ চৌধুরী, নিজাম উদ্দিন, রোকেয়া আক্তার চৌধুরী, আব্দুস সামাদ, এনামুল হক চৌধুরী, মাজু আহমদ প্রমুখ ।